গাজা অভিমুখী ঐতিহাসিক আন্তর্জাতিক নৌবহরে (ফ্লোটিলা) অংশগ্রহণকারী বিশ্ববিখ্যাত আলোকচিত্রী ও মানবাধিকার কর্মী ড. শহিদুল আলমের অবস্থা ও নিরাপত্তা সরকার নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
শনিবার (৪ অক্টোবর, ২০২৫) এক বিবৃতিতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস বলেন, শহিদুল আলম বাংলাদেশের এক উজ্জ্বল প্রতীক, যিনি অবিচল মনোবলের পরিচয় বহন করেন। তিনি বিশেষভাবে উল্লেখ করেন যে, ২০১৮ সালে তৎকালীন হাসিনা সরকারের আমলে অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলার জন্য শহিদুল আলমকে ১০৭ দিন কারাবাস করতে হয়েছিল। বর্তমান অভিযানেও তিনি সেই একই সাহস, দৃঢ়তা ও অবিচল মানসিকতা নিয়ে অংশ নিচ্ছেন।
বিবৃতিতে অধ্যাপক ইউনূস গত মাসে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে দেওয়া নিজের বক্তব্য উদ্ধৃত করেন। তিনি বলেন, মানুষের দুর্ভোগ ও পীড়নের প্রতি ঔদাসীন্য বহু দশকের পরিশ্রমে অর্জিত সব ধরনের অগ্রগতি ধ্বংস করে দিচ্ছে। এর সবচেয়ে মর্মান্তিক চিত্র বর্তমানে গাজায় দেখা যাচ্ছে।
নোবেলজয়ী এই অর্থনীতিবিদ গাজার ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়ের চিত্র তুলে ধরে বলেন, “শিশুরা না খেয়ে অকাল মৃত্যুবরণ করছে, বেসামরিক জনগোষ্ঠীকে নির্বিচারে হত্যা করা হচ্ছে, হাসপাতাল, স্কুলসহ একটি গোটা জনপদ নিশ্চিহ্ন করে ফেলা হচ্ছে।” এই ভয়াবহ পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টা ড. শহিদুল আলমের এই সাহসী পদক্ষেপের প্রতি গভীর সংহতি প্রকাশ করেন। তিনি জোর দিয়ে বলেন, “আমরা শহিদুল আলমের পাশে আছি, গাজার পাশে আছি—এখন এবং চিরকাল।”
অধ্যাপক ইউনূসের এই বিবৃতি মূলত আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আন্দোলনে বাংলাদেশের অবস্থান এবং গাজার নির্যাতিত মানুষের প্রতি সংহতির এক শক্তিশালী বার্তা বহন করছে। এটি ইঙ্গিত দেয় যে, সরকার আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে একজন বিশিষ্ট নাগরিকের নিরাপত্তা ও মানবাধিকার পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।