নিজস্ব প্রতিবেদক, পেকুয়া: কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার চট্টগ্রাম দক্ষিণ বনবিভাগের বারবাকিয়া রেঞ্জের অধীনে টইটং বনবিট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন জনের কাছ থেকে চাঁদাদাবীর অভিযোগ উঠেছে।
টইটং সংরক্ষিত বনবিটের বেশ কয়েকজন সাংবাদিকদের জানান, তিনি গত ৩/৪ মাস আগে টইটং বনবিটে যোগদান করেছেন। এরপর থেকে এলাকার লোকজন তার চাঁদাবাজিতে অতিষ্ট হয়ে উঠেছেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে বেশ কয়েকজন জানান, টইটংয়ের বর্তমান বনবিট কর্মকর্তা মো: এহেছান তার বনবিভাগের সংরক্ষিত এলাকায় কেউ পাকা বাড়ি নির্মাণ করলে ৫০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকা, সেমিপাকা বাড়ি তৈরী করলে ৩০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা, মাটির ঘর নির্মাণ করলে ১০ হাজার টাকা, বাড়ির চারদিকে ঘেরাবেড়া দিলে ৫ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা দাবী করে থাকে। তাছাড়া সংরক্ষিত এলাকার বালির ডাম্পার থেকে ৫শ থেকে ১ হাজার টাকা, লাকড়ির ট্টলি গাড়ী থেকে ৩শ টাকা আদায় করে থাকে।
টইটংয়ের খুইন্যাভিটা এলাকার গিয়াস উদ্দিন খোকন জানান, ১৯৯৮ সালের আকাশমণি গাছের বাগান ওই বিট অফিসার বিক্রি করে মোটা অংকের বাণিজ্য করার অভিযোগ রয়েছে।
তিনি আরো জানান, তার বসতভিটার ঘেরা বেড়ার দেওয়ার সময় বিট কর্মকর্তার তোপের মুখে পড়েন। তার কাছ থেকে গত ১৫ দিন আগে ২০ হাজার টাা দাবী করে। ওই দাবীকৃত টাকা না দিলে মামলা দেওয়ার হুমকি ধমকি দিয়ে থাকে। তাছাড়া কেউ বনের জায়গায় পানের বরজ করলে ১০ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকা দাবী করে।
এ বিষয়ে টইটং বনবিট কর্মকর্তা মো: এহেছান বলেন, এ ধরনের কোন ডকুমেন্ট থাকলে আমার কাছে নিয়ে আসেন। এ সমস্ত অভিযোগের কোন ধরনের সত্যতা নাই বলে দাবী করেন।
বারবাকয়িা রেঞ্জ কর্মকর্তা খালেকুজ্জামান জানান, এ ধরনের অভিযোগের প্রমাণ পেলে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।