কক্সবাজারের টেকনাফে নিখোঁজ হওয়ার ২৪ ঘণ্টা পর নুসরাত আফ্সি মনি (৪) নামের এক শিশুকন্যার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। স্থানীয়দের ধারণা, শিশুটির কানের দুল ছিনিয়ে নিতে তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়।
গতকাল রবিবার (৫ অক্টোবর) দুপুর থেকে নিখোঁজ ছিল শিশুটি। আজ সোমবার (৬ অক্টোবর) দুপুরে বাড়ির পাশের একটি পুকুর থেকে তার ভাসমান মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের হোয়াকিয়া গ্রামের বাসিন্দা ইঞ্জিনিয়ার মামুনুর রশিদ বাঁধনের কন্যা নুসরাত আফ্সি মনি। পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রবিবার দুপুরে সে নিজ বাড়ির উঠোনে খেলছিল। একপর্যায়ে শিশুটিকে দেখতে না পেয়ে আত্মীয়-স্বজনসহ সম্ভাব্য সব স্থানে খোঁজ নেওয়া শুরু হয়। কোথাও তার সন্ধান না মেলায় পার্শ্ববর্তী দিলদার আহমদ মেম্বারের পুকুরে জাল ফেলে খোঁজাখুঁজি করেন স্থানীয়রা, কিন্তু কোনো হদিস মেলেনি। অবশেষে নিখোঁজের ২৪ ঘণ্টা পর সোমবার দুপুরে সেই একই পুকুরে তার মৃতদেহ ভাসমান অবস্থায় দেখতে পেয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধার করেন।
উদ্ধারের সময় শিশুর মৃতদেহে কয়েকটি অস্বাভাবিক চিহ্ন দেখতে পান স্থানীয়রা। তারা জানান, শিশুটির কানের দুল দুটি ছিল না এবং তার মুখে কস্টেপের (প্লাস্টার) দাগ ছিল।
নিহত শিশুর স্বজনদের দাবি, কানের দুল ছিনিয়ে নেওয়ার জন্যই শিশুটিকে হত্যা করা হয়েছে। তাদের ধারণা, ছিনতাইকারীরা চিনে ফেলায় শিশুটিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে এবং পরে তার লাশ পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। টেকনাফ মডেল থানা পুলিশ মৃতদেহের সুরতহাল তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার মর্গে প্রেরণ করেছে।
এই ঘটনায় সন্দেহভাজন ছয় ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশকে সোপর্দ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে এ বিষয়ে জানতে টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জায়েদ মোঃ নাজমুন নূরের সঙ্গে।