২০১৭ সালের আগস্টে মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশ থেকে বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া শতাধিক হিন্দু পরিবার এবারও তাদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপন করছে।
কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালংয়ে ১ নং (ইস্ট ও ওয়েস্ট) রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পার্শ্ববর্তী হিন্দু শরণার্থী ক্যাম্পে পরিবারগুলো আশ্রয় পেয়েছে। ২০১৮ সাল থেকে এই ক্যাম্পে দুর্গোৎসব পালিত হয়ে আসছে।
রবিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) ষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে ক্যাম্পের একমাত্র ধর্মীয় উপাসনালয় ‘শক্তি রাধাকৃষ্ণ’ মন্দিরে দুর্গাপূজা শুরু হয়েছে।
দুপুরে ক্যাম্প প্রশাসন বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা মুক্তি কক্সবাজারের সহযোগিতায় আশ্রিত ১২৭টি পরিবারের মধ্যে শাড়ি সহ প্রসাদ হিসেবে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ক্যাম্প ইনচার্জ ও সহকারী সচিব মোহাম্মদ মুনিবুর রহমান। তিনি বলেন, হিন্দু শরণার্থীরা যেন নির্বিঘ্নে নিজেদের ধর্মীয় উৎসব পালন করতে পারেন, সে ক্ষেত্রে ক্যাম্প প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
মুক্তি কক্সবাজারের প্রধান নির্বাহী বিমল চন্দ্র দে জানান, মানবিক এই কার্যক্রমে ক্যাম্প প্রশাসনের সাথে থাকতে পেরে তারা গর্বিত এবং এই উদ্যোগ আগামীতেও অব্যাহত রাখা হবে।
ক্যাম্পের কমিউনিটি নেতা কাজল শীল বাংলাদেশের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, “অনিশ্চিত আশ্রয় জীবনেও পরিবার পরিজন নিয়ে দুর্গোৎসব পালন করতে পারছি।”
মুক্তির শিক্ষা প্রকল্পের ম্যানেজার আব্দুল্লাহ আল মামুন শাহীন জানান, ক্যাম্প প্রশাসনের নির্দেশনায় ২০১৭ সাল থেকে মানবিক সহায়তা কার্যক্রমে মুক্তি ভূমিকা রাখছে।
এরই ধারাবাহিকতায় নতুন পোশাকের পাশাপাশি চাল, ডাল, তেলও প্রসাদ হিসেবে বিতরণ করা হয়েছে।