কিশোরগঞ্জের মহৎপ্রাণ মনু মিয়ার পর এবার অভিনেতা খায়রুল বাশার শরীয়তপুর জেলার নড়িয়ায় ৫৪ বছর ধরে বিনা ভাড়ায় খেয়া পার করা আরেক মহৎপ্রাণ, রমেশ মাঝির খোঁজ দিলেন।
সম্প্রতি খায়রুল বাশার রমেশ মাঝিকে নিয়ে তৈরি একটি ভিডিও প্রতিবেদন তার ফেসবুকে শেয়ার করেছেন। ভিডিওটি থেকে জানা যায়, শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার ভোজেশ্বর ইউনিয়নের কীর্তনখোলা নদীর লক্ষ্মীপুর ঘাটে প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত খেয়া পার করেন রমেশ মাঝি। অসংখ্য যাত্রীকে তিনি তাদের গন্তব্যে পৌঁছে দেন, কিন্তু বিনিময়ে কারো কাছ থেকে এক পয়সাও পারিশ্রমিক নেন না।
আরও জানা গেছে, রমেশ মাঝি শীত-গরম, রাত-দিন কিছুই পরোয়া করেন না। যাত্রী থাকলে গভীর রাতেও তিনি বৈঠা ধরেন। একজন স্থানীয় ব্যক্তি বলেছেন যে, রাত ৩টায়ও যদি তাকে খেয়া পার করে দিতে বলা হয়, তিনি তৎক্ষণাৎ নৌকা নিয়ে তৈরি হয়ে যান। এছাড়াও তিনি মানুষের নানা উপকার করে থাকেন।
রমেশ মাঝি জানান, “৫৪ বছর ধরে খেয়া পার করছি। ১০০ বছর ধরে এই ঘাটে আমার বাপ-দাদা মানুষ পারাপার করেছেন। তারাও কিছু নেননি। স্থানীয়রা ভালোবেসে ধান-চাল দিয়েছেন। তা দিয়েই জীবনযাপন করেছেন। আমিও সবাইকে ফ্রি নিয়ে যাই। কারণ জনসেবা করলে আল্লাহ খুশি হন। এত আয় করে কী করব? মানুষের একটু আশীর্বাদ নিয়ে যেতে পারলেই খুশি।”
অভিনেতা খায়রুল বাশার তার ফেসবুকে রমেশ মাঝির ভিডিও শেয়ার করে লিখেছেন, “মনু কাকা চলে গেছেন! আমরা পরিচয় পেলাম আরেক মহৎ প্রাণ রমেশ মাঝির। আমরা যেন রমেশ মাঝির দুর্দিনে পাশে থাকি। রমেশ মাঝি যেন বুক ভরে নিশ্বাস নিয়ে বলতে পারেন, আমার সব আছে, সবাই আমার মানুষ; আমার আর কী লাগবে!”