সাম্প্রতিক খবর ডেস্কঃ চট্টগ্রামের সৌন্দর্য ও পরিবেশ রক্ষায় এবার কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক)। যত্রতত্র পোস্টার, ব্যানার ও ফেস্টুন লাগিয়ে নগরীর সৌন্দর্য নষ্ট করায় কোচিং সেন্টারগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।
বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) নগরীর ভিজ্যুয়াল দূষণ প্রতিরোধ ও সচেতনতা বিষয়ক এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মেয়র বলেন, কোচিং সেন্টারগুলো যেহেতু একটি প্রতিষ্ঠিত বাণিজ্যিক খাত, তাই তাদের অবশ্যই নিয়মনীতির আওতায় আসতে হবে। চট্টগ্রামে বর্তমানে প্রায় ৪০০ কোচিং সেন্টার থাকলেও মাত্র ১২০টির ট্রেড লাইসেন্স রয়েছে। বাকি প্রতিষ্ঠানগুলোকে দ্রুত লাইসেন্সের আওতায় আনার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। এছাড়াও, যারা ট্রেড লাইসেন্স করেছে কিন্তু নবায়ন করেনি, তাদেরকেও দ্রুত নবায়ন করার আহ্বান জানান।
চসিক মেয়র আরও বলেন, শহরের পরিবেশ পরিচ্ছন্ন ও সুন্দর রাখতে হলে সবাইকে আইন মেনে চলতে হবে। যত্রতত্র ব্যানার-পোস্টার লাগানো বন্ধ করতে হবে। এর পরিবর্তে আমরা ডিজিটাল বোর্ড বা এলইডি স্ক্রিনে বিজ্ঞাপন প্রচারের ব্যবস্থা করব। এতে নগরের সৌন্দর্য যেমন বজায় থাকবে, তেমনি ব্যবসায়ীরাও নিয়ম মেনে বিজ্ঞাপন দিতে পারবেন।
চসিকের রাজস্ব বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, কোচিং সেন্টারগুলো প্রায় ৮০ ভাগ ক্ষেত্রে বিজ্ঞাপন ও লিফলেট প্রচারের জন্য সিটি কর্পোরেশনের অনুমতি নেয় না। এতে চসিক বিপুল পরিমাণ রাজস্ব হারাচ্ছে। একটি ব্যানার বা সাইনবোর্ডের জন্য মাত্র এক থেকে দুই হাজার টাকার কর দিলেই হয়, অথচ অনেক প্রতিষ্ঠান এই সামান্য অর্থও পরিশোধ করে না। এই রাজস্ব দিয়েই সিটি কর্পোরেশন শহরের পরিচ্ছন্নতা ও সৌন্দর্য রক্ষায় কাজ করে।
মেয়র ডা. শাহাদাত বলেন, শুধু সিটি কর্পোরেশন একা শহরের পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করতে পারবে না। এজন্য নাগরিকদের সহযোগিতা অত্যন্ত জরুরি। নগরীকে পরিচ্ছন্ন ও সুন্দর রাখতে সবাইকে দায়িত্বশীল হতে হবে এবং নিজ নিজ জায়গা থেকে এগিয়ে আসতে হবে।