কক্সবাজারের পেকুয়ায় যৌতুকের জন্য লতিফা আক্তার নামের এক গৃহবধূকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে স্বামী ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। লতিফার অবস্থা গুরুত্বর বলে জানিয়েছে তার পরিবার।
বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টায় পেকুয়া উপজেলার টৈটং ইউনিয়নের হাজির বাড়ি গ্রামে লতিফার শ্বশুরবাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
লতিফা উপজেলার টৈটং ইউনিয়নের জানালি মোড়া গ্রামের মৃত আব্দুল আজিজের মেয়ে।
আহত লতিফার ছোট ভাই পারভেজ জানান, ২০১০ সালের সেপ্টেম্বরে টৈটং হাজীর বাড়ি গ্রামের সিদ্দিক আহমেদের ছেলে হেলাল উদ্দিনের সঙ্গে বিয়ে হয় লতিফার। বিয়ের পর থেকে যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে মারধর করে হেলাল। বাবার বাড়ি থেকে টাকা আনতে চাপ দেওয়া হয় লতিফার ওপর।
যৌতুক না এনে দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে লতিফার ওপর নির্যাতন চালায় হেলাল ও তার বোন খুরশিদা। স্বামীর মারধরে একপর্যায়ে গুরুত্বর আহত হয় স্ত্রী ও মেয়ে মিফতাহুল জান্নাত। তাদের দুই জনের অবস্থা খারাপ হওয়ায় লতিফার পরিবারকে বিষয়টি জানানো হলে তারা এসে তাকে উদ্ধার করে পেকুয়া নুর হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাদেরকে চট্টগ্রাম নেওয়া হয়।
লতিফার মা বলেন, আমার মেয়ে চট্টগ্রামে একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। আমি লতিফার স্বামীসহ যারা এ নির্যাতনের সঙ্গে জড়িত তাদের শাস্তি চাই।
এ বিষয়ে লতিফার স্বামী হেলাল উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, যৌতুকের বিষয়ে কোন জামেলা হয় নাই, ভাবীর সাথে গত ৩দিন ধরে ঝগড়া করতে থাকলে তাকে ঝগড়া না করতে বাঁধা দিলে সে আরো বেশি উত্তেজিত হয়ে ঝগড়া করে তখন রাগের মাথায় একটা ধাক্কা দিলে দরজার সাথে পা লেগে তার পায়ে আঘাত হয়েছে বলে স্বীকার করেন।
এ বিষয়ে পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সিরাজুল মোস্তফা বলেন, বিষয়টি আমরা সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে জানতে পেরেছি। খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। ভুক্তভোগী অভিযোগ দিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।