ঘরের মাঠে পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে ৭ উইকেটের বিশাল জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। মিরপুরে স্বাগতিকদের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে চলতি বছরের শুরুতে পাকিস্তানের মাটিতে পাওয়া হোয়াইটওয়াশের প্রতিশোধ নেওয়ার পথে অনেকটাই এগিয়ে গেল লিটন দাসের দল। এই জয়ে তিন ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে রইল বাংলাদেশ।
আগে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশকে মাত্র ১১১ রানের সহজ লক্ষ্য দেয় পাকিস্তান। জবাবে বাংলাদেশ ২৭ বল এবং ৭ উইকেট হাতে রেখেই জয় তুলে নেয়। বাংলাদেশের জয়ে সর্বোচ্চ ৫৬ রান করে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন পারভেজ হোসেন ইমন।
সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে অবশ্য শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম মাত্র ৪ বলে ১ রান করে প্রথম ওভারেই সাজঘরে ফেরেন। এরপর লিটন দাসও ১ রান করে আউট হলে ৭ রানেই ২ উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে স্বাগতিকরা।
তবে পারভেজ হোসেন ইমন এবং তাওহীদ হৃদয় মিলে দলের হাল ধরেন। এই দুজনের ব্যাটে ভর করে পাওয়ার প্লেতে ২ উইকেট হারিয়ে ৩৮ রান তোলে বাংলাদেশ। হৃদয় ব্যক্তিগত ৩৬ রানে বোল্ড আউট হলেও ওপেনার পারভেজ ইমন ৩৪ বলে নিজের ফিফটি পূর্ণ করেন। তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন জাকের আলী, যিনি ১০ বলে ১৫ রান করে অপরাজিত থাকেন। শেষ পর্যন্ত পারভেজ ইমনের ৩৯ বলে অপরাজিত ৫৬ রানের কল্যাণে ৭ উইকেট ও ২৭ বল হাতে রেখেই জয় নিশ্চিত করে বাংলাদেশ।
পাকিস্তানের হয়ে সালমান মির্জা ২টি এবং আব্বাস আফ্রিদি ১টি উইকেট শিকার করেন।
তাসকিন-মাহেদীর দাপট এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় পাকিস্তান। ইনিংসের তৃতীয় বলেই ফখর জামানের সহজ ক্যাচ ফেলে দেন তাসকিন আহমেদ। তবে এই তাসকিনই প্রথম ওভারে সাইম আইয়ুবকে ক্যাচ আউট করে নিজের ভুলের প্রায়শ্চিত্ত করেন। পরের ওভারে শেখ মাহেদী ৪ রান করা হারিসকে ফেরান।
পঞ্চম ওভারে তানজিম সাকিব বল হাতে এসে পাকিস্তানের অধিনায়ক সালমানকে (৩) ক্যাচ আউট করেন। এরপর মোস্তাফিজের বলে বাউন্ডারি লাইনে ধরা পড়েন হাসান নওয়াজ। এতে পাওয়ার প্লেতেই ৪১ রান তুলতেই ৪ উইকেট হারিয়ে বসে পাকিস্তান।
ব্যাটিং বিপর্যয়ের দিনে মোহাম্মদ নওয়াজও হতাশ করেন। অষ্টম ওভারে রান আউট হয়ে ৫ বলে ৩ রান করে ফিরে যান তিনি। ফলে ৪৬ রানেই ৫ উইকেট হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে ম্যান ইন গ্রিনরা।
এক প্রান্ত আগলে রেখে রান তুলছিলেন ফখর জামান, কিন্তু দশম ওভারে মাহেদীর বলে তিনি আবারও সহজ ক্যাচ তুলে দেন। তবে এবারেও টাইগার স্পিনার ক্যাচটি তালুবন্দী করতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত ১২তম ওভারে ৪৪ রান করে রান আউটের শিকার হন ফখর জামান।
আব্বাস আফ্রিদিকে সঙ্গে নিয়ে খুশদিল শাহ কিছুটা প্রতিরোধের চেষ্টা করলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। ২৩ বলে ১৭ রান করে তিনিও বিদায় নেন। ১৯তম ওভারে তাসকিন আহমেদের বোলিংয়ে ফাহিম আশরাফ (৫) ক্যাচ আউট, সালমান মির্জা রান আউট এবং আব্বাস আফ্রিদি ক্যাচ আউট হলে ১১০ রানেই গুটিয়ে যায় পাকিস্তানের ইনিংস।