কক্সবাজারের পেকুয়ায় প্রবাসীর স্ত্রীকে নিয়ে পালিয়েছেন হাসান রব্বানী নামের ওলামালীগের এক নেতা। কোর্টে এমন এজাহার করেন ওই নারীর স্বামী হারুনর রশীদ।
অভিযুক্ত হাসান রব্বানী পেকুয়া উপজেলার ওলামালীগের সাধারণ সম্পাদক ও পেকুয়া সদর ইউনিয়ন জালিয়াখালী গ্রামের বাসিন্দা। ওই নারী রাজাখালী ইউনিয়নের টেকঘোনা পাড়া গ্রামের সৌদি প্রবাসীর স্ত্রী। তাদের সংসারে এক ছেলে এক মেয়ে রয়েছে।
জানা গেছে, ১৫ বছর আগে উপজেলার রাজাখালী ইউনিয়নের টেকঘোনা পাড়া এলাকার মৃত গোলাম রহমান ছেলে প্রবাসী হারুণর রশীদের সাথে ওই তরুণীর বিয়ে হয়়। বিয়ের পর স্বামী সৌদিআরবে চলে যান। দুই বছর পরপর স্বামী বাড়িতে আসেন। বিশেষ করে প্রবাসী হারুণুর রশিদের মেয়ে ওলামালীগের প্রতিষ্ঠিত আলিয়া মাদ্রাসার লেখাপড়া করতেন। এরই মধ্যে ওই নারীর সঙ্গে পেকুয়া উপজেলা ওলামালীগের সাধারণ সম্পাদক হাসান রব্বানীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এর মাঝে গত মার্চে ছুটিতে বাড়িতে আসেন স্বামী এবং ৩মাস ছুটি কাটিয়ে সৌদি আরব চলে যান।
মামলার এজাহারে বলা হয়, গতকাল গত আগস্ট মাসের ৪তারিখ শনিবার সকালে তামান্না ইয়াসমিন রুনা তার ১৩ বছরের এক মেয়েকে বাসায় রেখে আরেক ছেলেকে নিয়ে প্রেমিক হাসান রব্বানীর সঙ্গে পালিয়ে যান। এ সময় তার স্বামীর দেওয়া ৬ ভরি স্বর্ণালংকার এবং ৬লক্ষ ৫০হাজার টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনার পর তার স্বামী কক্সবাজার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন।
ওই নারীর শাশুড়ী বলেন, সংসারে সচ্ছলতা আনতে আমার ছেলে সৌদিআরব প্রবাস জীবন কাটাচ্ছেন। গত মাসে ছেলে বাড়িতে এসেছিল। ছেলের দেওয়া টাকা, স্বর্ণালংকার এবং আত্মীয়দের কাছ থেকেও টাকা ধার নিয়ে পালিয়ে গেছে ছেলের স্ত্রী।
প্রবাসী হারুনুর রশিদ বলেন, হাসান রব্বানী আমার স্ত্রীর সাথে অবৈধভাবে মিলামেশা করতেছে, কোন কাবিন বা নোটারী ছাড়া অবৈধ সংসার করতেছে, প্রশাসনের কাছে তার শাস্তির জোর দাবি জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত হাসান রব্বানী বলেন, ওই মহিলার স্বামী দায়ের করা মামলা খারিজ হয়ে গেছে। আমি ইসলামী শরীয়া মোতাবেক বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছি। বিবাহের বিষয় নিয়ে আমার প্রথম স্ত্রীর কোন অভিযোগ নেই। দুই স্ত্রীকে নিয়ে আমরা একসাথে ভাড়া বাসায় দিনযাপন করতেছি।