পেকুয়া কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লিমিটেড (ঋণদান সমিতি)-এর টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সমিতির একজন ডিরেক্টর, জাফর আলমকে, সাময়িকভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।
২১ সেপ্টেম্বর সমিতির সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক নোটিশে এই তথ্য জানানো হয়।
সমিতি পরিচালনা কমিটির সভাপতি তারেক ছিদ্দিকী জানিয়েছেন, টাকা আত্মসাতের বিষয়ে একটি সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত জাফর আলমের বহিষ্কারাদেশ বহাল থাকবে।
সমিতির সূত্র অনুযায়ী, জাফর আলম ১০ম ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্বাচনে ডিরেক্টর নির্বাচিত হওয়ার পর সমিতির কাছ থেকে অগ্রিম ধার হিসেবে মোট ৮ লাখ ৪৬ হাজার টাকা গ্রহণ করেন। ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের অডিট প্রতিবেদনে এই টাকা পরিশোধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়।কিন্তু তিনি কোনো জবাব দেননি।
এর পরিপ্রেক্ষিতে, গত ১৫/৩/২৫ তারিখে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। এছাড়া, তিনি ৩০/৬/২৫, ৩১/৭/২৫ এবং ৩১/৮/২৫ তারিখের পরপর তিনটি মাসিক বৈঠকেও অনুপস্থিত ছিলেন।
ফলে, ৩১/৮/২০২৫ তারিখে সমিতির বোর্ড সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সমিতির বিধিমালা ও উপ-আইন অনুসারে তাকে ডিরেক্টর পদ থেকে অপসারণ করা হয়। তাকে কেন স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না, তা ৭ কর্মদিবসের মধ্যে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
পেকুয়া কো-অপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লিমিটেড পরিচালনা কমিটির সভাপতি তারেক ছিদ্দিকী বলেন, "আমরা দায়িত্ব গ্রহণের আগেই তিনি এই টাকা নিয়েছিলেন। সমিতির পক্ষ থেকে তাকে বেশ কয়েকবার নোটিশ দেওয়া হয়েছে, কিন্তু তিনি কোনো জবাব দেননি। তাই বোর্ড সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাকে সাময়িকভাবে অপসারণ করা হয়েছে।"
বহিষ্কৃত ডিরেক্টর জাফর আলম জানান, অগ্রিম ধার হিসেবে নেওয়া টাকা পরিশোধের বিষয়ে আলোচনা চলছে। তার দাবি, শুধু তিনিই নন, সমিতির অন্যান্য নেতাদেরও অগ্রিম ধার আছে।
তিনি বলেন, "সমিতি কর্তৃপক্ষ নির্ধারিত সময়ের আগে মিটিংয়ে অনুপস্থিত দেখিয়ে আমাকে জোরপূর্বক বহিষ্কার করেছে।"