মোঃ সোহেল আরমান, ষ্টাফ রিপোর্টারঃ কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার আলহাজ্ব কবির আহমদ চৌধুরী বাজার (পেকুয়া বাজার) এলাকায় অবস্থিত ফোরকান হাসপাতালে পরিকল্পিত হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছে একদল সংঘবদ্ধ দুর্বৃত্ত। এসময় হাসপাতালে হামলায় ভাইস চেয়ারম্যানসহ চারজন আহত হন।
শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন, হাসপাতালের ভাইস চেয়ারম্যান নুরুল কবির (৬৭), আয়া কাজল (১৯), ওয়ার্ড বয় শিফাত (১৭) ও নৈশ প্রহরী জসিম উদ্দিন (৫০)। আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কাউসার হামিদ নঈমী ও তাঁর স্ত্রী পারভিন আক্তারের নেতৃত্বে ২০-২৫ জন দুর্বৃত্ত হাসপাতালের ভেতরে ঢুকে ভাঙচুর চালায়। বাধা দিলে ভাইস চেয়ারম্যানসহ চারজন কর্মচারী আহত হন। পরে প্রত্যক্ষদর্শীরা এগিয়ে এলে হামলাকারীরা সটকে পড়ে।
ফোরকান হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম. ফোরকান উদ্দিন বলেন, কাউসার হামিদ নঈমীর সঙ্গে আমার আর্থিক লেনদেন আছে। ধাপে ধাপে টাকা পরিশোধ করছি। নির্ধারিত সময়ের আগেই কাউসার ও তাঁর স্ত্রী লোকজন নিয়ে হাসপাতালে হামলা চালিয়েছে। একদিন আগে পারভিন আক্তার আমাকে ফোনে হুমকি দেয়। পরদিনই হামলার ঘটনা ঘটে। এটি পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র। হাসপাতালের সুনাম ক্ষুন্ন করতে একটি মহল ষড়যন্ত্র করছে। আমি ঘটনার সময় হাসপাতালে ছিলাম না। খবর পেয়ে এসে দেখি হাসপাতালের নিচতলায় ভাঙচুর।
হাসপাতালের ভাইস চেয়ারম্যান নুরুল কবির বলেন, আমাদের হাসপাতালের সুনাম ও জনপ্রিয়তা অনেকের সহ্য হচ্ছে না। তাই হাসপাতালকে কলঙ্কিত করতে পরিকল্পিত হামলা চালানো হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা প্রতিরোধ না করলে আরও বড় ক্ষতি হতে পারতো। পুরো ঘটনার ভিডিও সিসিটিভিতে রেকর্ড রয়েছে। ২০ থেকে ২৫ জন দুর্বৃত্ত হামলা চালায়। এ হাসপাতাল প্রতিষ্ঠিত হয়েছে সেবার জন্য। এটি একটি সেবামুলক প্রতিষ্ঠান। দিন দিন হাসপাতালের সুনাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। এটি অনেকের সহ্য হচ্ছেনা। তাই হাসপাতালের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে এ হামলা।
তিনি আরও বলেন, কাউসার হামিদ এক সময় হাসপাতালের শেয়ারহোল্ডার ছিল। তাঁর চিন্তা-পরিকল্পনা ভালো ছিলনা। এ ব্যাপারে আমরা আইনি সহায়তা চাইব।