মিরপুর শেরে-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি ম্যাচে পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করার লক্ষ্য নিয়ে মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ, কিন্তু শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে পড়ে স্বাগতিকরা। পাকিস্তানের বোলারদের দাপটে বাংলাদেশের হোয়াইটওয়াশ করার স্বপ্ন ভঙ্গ হয়, এবং এই জয়ের মাধ্যমে পাকিস্তান হোয়াইটওয়াশ হওয়া থেকে নিজেদের সম্মান রক্ষা করে।
রান তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই পাকিস্তানের বোলারদের আক্রমণের মুখে পড়ে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। দলের খাতায় কোনো রান যোগ হওয়ার আগেই সালমান মির্জার বলে কট বিহাইন্ড হন ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম। পরের ওভারেই ফাহিম আশরাফের বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন অধিনায়ক লিটন দাস, ৮ বলে করেন ৮ রান। পাওয়ার প্লে-র মধ্যে আরও ৩ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে কার্যত ছিটকে যায় বাংলাদেশ। মেহেদী হাসান মিরাজ (৯ রান), জাকের আলী (১ রান) এবং শেখ মেহেদী (০ রান) দ্রুত প্যাভিলিয়নে ফেরেন।
বিপর্যয়ের সময় শামীম হোসেন (৫ রান) ও মোহাম্মদ নাঈম (১০ রান) হাল ধরতে ব্যর্থ হন। শামীম সালমান আলীর বলে বোল্ড হন এবং ওপেনিংয়ে নামা নাঈম ১৭ বলে ১০ রান করে ফিরে যান। ৪১ রানের মধ্যেই ৭ উইকেট হারিয়ে পরাজয় নিশ্চিত করে ফেলে লিটন দাসরা। শেষ পর্যন্ত মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ৩৪ বলে ২ ছক্কা ও ২ চারের মারে ৩৫ রানে অপরাজিত থেকে হারের ব্যবধান কিছুটা কমান। পাকিস্তানের পক্ষে সালমান ১৯ রান খরচায় সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন। এছাড়া ফাহিম আশরাফ ও মোহাম্মদ নওয়াজ ২টি করে উইকেট শিকার করেন।
এর আগে, টস জিতে আগে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক লিটন দাস। গত ম্যাচের একাদশ থেকে বাংলাদেশ দলে পাঁচটি পরিবর্তন আনা হয়েছিল। পাকিস্তানের দুই ওপেনার শাহিবজাদা ও সাইম আইয়ুব দলকে ভালো শুরু এনে দেন। ৬ ওভারে বিনা উইকেটে ৫০ রান তুলে ফেলেন তারা। শাহিবজাদা এবং সাইম আইয়ুব দলকে বড় স্কোরের দিকে নিয়ে যাচ্ছিলেন, কিন্তু নাসুম আহমেদের বলে ২১ রান করে সাজঘরে ফেরেন সাইম আইয়ুব। এরপরও অন্য ওপেনার শাহিবজাদা হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন। ৪১ বল খেলে ৬৩ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন তিনি, যেখানে ছিল ৫টি ছয় ও ৬টি চারের মার। তাকেও নাসুম আহমেদ ফিরিয়ে দেন।
এছাড়াও মোহাম্মদ হারিস ৫, হাসান নওয়াজ ৩৩, সালমান আগা ১২ এবং মোহাম্মদ নওয়াজ ৩০ রান করেন। বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে তাসকিন আহমেদ ৩টি উইকেট নেন, নাসুম আহমেদ পান ২টি উইকেট, এবং শরিফুল ইসলাম ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ১টি করে উইকেট শিকার করেন।
এই জয়ের ফলে পাকিস্তান হোয়াইটওয়াশ হওয়া থেকে নিজেদের রক্ষা করতে সক্ষম হয় এবং বাংলাদেশের হোয়াইটওয়াশ করার স্বপ্ন অধরাই থেকে যায়।