সেলিম চৌধুরী, পটিয়াঃ চট্টগ্রামের সাবেক সদর মহকুমা পটিয়ার শতবর্ষী পুরাতন থানার হাট এখন কেবল নামেই টিকে আছে। কালের বিবর্তনে ঐতিহ্যবাহী এই বাজারের অস্তিত্ব প্রায় বিলীন হয়ে গেছে। একই সাথে, সামান্য বৃষ্টিতেও এখানকার প্রধান সড়কে পানি জমে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হচ্ছে, কারণ কোনো কার্যকর পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা নেই।
হাটের জায়গা বেদখল, চুরি হয়েছে স্থাপনা
সরেজমিনে জানা গেছে, একসময় এই স্থানে প্রতি শুক্রবার ও সোমবার হাট বসলেও এখন আর তা হয় না। হাটের পুরোনো টিনের ঘরগুলো একটি চক্র চুরি করে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এলাকাবাসী, যেমন ওসমান হায়দার এবং আবু ফরিদ, জানিয়েছেন যে একটি শক্তিশালী ভূমিদস্যু চক্র জাল দলিল তৈরি করে সরকারি সম্পত্তি জবরদখল করার চেষ্টা করছে।
পটিয়া পৌরসভার ৫, ৬ এবং ৭ নম্বর ওয়ার্ডের অংশবিশেষ এই পুরাতন থানার হাট এলাকার আশপাশে বর্তমানে শত শত পাকা ভবন নির্মিত হয়েছে। কিন্তু অনেক ভবন মালিকই ইমারত নির্মাণ ও বিল্ডিং কোড আইন অমান্য করে ভবন তৈরি করেছেন। ফলে বৃষ্টির পানি কোন পথে নিষ্কাশন হবে, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।
জলাবদ্ধতার কারণে এলাকাবাসী এবং ব্যবসায়ীরা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। পানি জমে থাকায় রাস্তা তলিয়ে যায়, দোকান ও বাড়িঘরে পানি ঢুকে পড়ে এবং স্বাভাবিক চলাচল ব্যাহত হয়। স্থানীয় বাসিন্দা জাফরুল ইসলাম, নাজিম উদ্দীন, সিরাজুল ইসলাম এবং দিদারুল আলম জানান যে এই জমে থাকা পানি মশার প্রজননস্থল হয়ে উঠছে, যা ডেঙ্গুসহ অন্যান্য রোগের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে।
গত ৩১ আগস্ট, এলাকার সাবেক কাউন্সিলর হাসান মুরাদের ভাই ওসমান হায়দার পটিয়া পৌর প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন। এলাকাবাসী এই সমস্যার সমাধানে এবং হাটের হারানো গৌরব ফিরিয়ে আনতে পটিয়া পৌরসভার প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারহানুর রহমানের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারহানুর রহমান, যিনি পটিয়া পৌরসভার প্রশাসকের দায়িত্বেও আছেন, এলাকাবাসীর দাবির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন এবং দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।