ঢাকাশুক্রবার , ৪ জুলাই ২০২৫
  1. অন্যান্য
  2. অর্থনীতি
  3. আইন ও বিচার
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আবহাওয়া
  6. ইসলাম ও ধর্ম
  7. কৃষি
  8. ক্যাম্পাস
  9. ক্রিকেট
  10. খেলাধুলা
  11. চাকরি
  12. জাতীয়
  13. তথ্য প্রযুক্তি
  14. দেশজুড়ে
  15. নগর-মহানগর
আজকের সর্বশেষ সবখবর

তানোর খাদ্যগুদামে ধান সংগ্রহে দুর্নীতি!

জাকির হোসেন টুটুল, রাজশাহী
জুলাই ৪, ২০২৫ ৬:০৪ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

জাকির হোসেন-টুটুল, রাজশাহীঃ রাজশাহীর তানোর সরকারি খাদ্যগুদামে ধান সংগ্রহে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতি ও লাখ লাখ টাকা উৎকোচ/ ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

সরকারি নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে বড় অঙ্কের উৎকোচ / ঘুস গ্রহণের মাধ্যমে ধান ক্রয় করা হচ্ছে। নীতিমালা লঙ্ঘন করে ট্রাকে করে গুদামে এসব ধান দেয়া হচ্ছে। শুধু তাই নয়, খোদ খাদ্যনিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা (টিসিএফ) ও গুদামের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জবিভিন্ন মিল মালিকদের কাছ থেকে ধান ক্রয় করে গুদামে বিক্রয় করছেন। ফলে বঞ্চিত হচ্ছেন প্রান্তিক
কৃষকরা। আর লাভবান হচ্ছেন অসাধু ব্যবসায়ী ও খাদ্য গুদাম সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

জানা গেছে, চলতি বছরের ১২-মে (সোমবার) তানোর সরকারি খাদ্য গুদামে আনুষ্ঠানিকভাবে ধান – চাল সংগ্রহ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়। এই কার্যক্রম আগামি ৩১-আগষ্ট পর্যন্ত্য চলবে। ২০২৫ সালে অভ্যন্তরীণ খাদ্যশস্য সংগ্রহ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ৪৯ টাকা কেজী দরে অটো ও  হাস্কিং মিল থেকে ৬২০ মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল ও ৩৬ টাকা কেজী দরে এক হাজার ৭২ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহ করা হবে। আগামী ৩১  আগস্ট এই কার্যক্রম চলবে।

আরো জানা গেছে, এই বছর স্থানীয় বাজারে প্রতিমন (বড়) ধানের মূল্য ১১৫০ থেকে ১২০০ টাকা। কৃষকদের উৎসাহিত করতে ভর্তুকির মাধ্যমে সরকারি মূল্য ধরা হয়েছে ১৪৪০ টাকা। আর এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে অনেকেই স্থানীয় বাজার থকে বড় ধান সংগ্রহ ও কৃষক ভাড়ার (কৃষি কার্ড) মাধ্যমে অনিয়ম-দুর্নীতি করে যাচ্ছেন। এ সুযোগটি হাত ছাড়া না করে গুদাম কর্মকর্তারাও নিজেদের লোক দিয়ে বিভিন্ন মিল থেকে সরকারি বস্তায় ধান বস্তাজাত করে গাড়িতে সরাসরি গুদামে বিক্রি করছেন। বিভিন্ন অজুহাতে ব্যবসায়ীদের প্রতি ট্রাক ধানে ৪ হাজার টাকা হারে ঘুস দিতে হচ্ছে খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তাকে। অন্যান্য বছর লটারির মাধ্যমে নির্বাচিত কৃষকের কাছ থেকে ধান ক্রয় করা হলেও এবছর পকেট ভারি করার জন্য লটারি হয়নি। কৃষকের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

কৃষকের দেয়া তথ্য অনুযায়ী এই বছর কামারগাঁ সরকারি খাদ্য গুদামে প্রায় ২০০ মেট্রিক টন ধান বিক্রয় করেছেন জনৈক মতি ও ৫০ মেট্রিক টন ধান দিয়েছে আওয়ামী মতাদর্শী সেলিম নামের এক ব্যবসায়ী।

অন্যদিকে তানোর সরকারি খাদ্য গুদামে ধান সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ করছেন খাদ্য কর্মকর্তা (টিসিএফ) নিজেই। তিনি বিভিন্ন এলাকা থেকে ট্রাকে করে ধান এনে গুদামে দিচ্ছেন। সেলিম নামের এক ব্যবসায়ী বলেন, গুদামে প্রতি ট্রাক ধান ঢুকাতে তাদের ৪ হাজার টাকা ঘুস দিতে হচ্ছে। অথচ খাদ্য গুদামে সরাসরি ট্রাকে করে ধান-চাল দেবার কোনো সুযোগ না থাকলেও, (টিসিএফ) ঠিকই ট্রাকে করে ধান দিচ্ছে।

এছাড়াও টিআর-কাবিখা প্রকল্পের বিপরীতে বরাদ্দকৃত চাল উত্তোলন না করেই শুধু ডিও হাতবদল করে সেই চাল সংগ্রহ দেখানো হচ্ছে। নীতিমালা অনুযায়ী টিআর-কাবিখা প্রকল্পের চাল উত্তোলন করে খোলাবাজারে নায্যমুল্য বিক্রি করার কথা। সরেজমিন তদন্ত করা হলে এসব অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যাবে। তারা এবিষয়ে খাদ্য গুদামে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদুক) সরেজমিন তদন্ত দাবি করেছেন।

এবিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা (টিসিএফ) মলিউজ্জামান সজিব সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, কেউ অবৈধ সুবিধা না পেয়ে এসব অপপ্রচার করছে।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।