ঢাকারবিবার , ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫
  1. অন্যান্য
  2. অর্থনীতি
  3. আইন ও বিচার
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আবহাওয়া
  6. ইসলাম ও ধর্ম
  7. কৃষি
  8. ক্যাম্পাস
  9. ক্রিকেট
  10. খেলাধুলা
  11. চাকরি
  12. জাতীয়
  13. তথ্য প্রযুক্তি
  14. দেশজুড়ে
  15. নগর-মহানগর
আজকের সর্বশেষ সবখবর

জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা

ছেলে-মেয়ে অভিন্ন কোটা, সমান নম্বরে অগ্রাধিকার বাংলা-ইংরেজি-গণিতে

সাম্প্রতিক খবর ডেস্ক
সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২৫ ৭:৪০ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

ফের অষ্টম শ্রেণিতে ফিরছে ‘জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা’। চলতি বছরই নতুন নীতিমালায় এবং নতুন আঙ্গিকে এক-চতুর্থাংশ শিক্ষার্থী বছরশেষে এই পরীক্ষায় বসার সুযোগ পাবে। এবার ছেলে ও মেয়েদের জন্য থাকছে অভিন্ন কোটা। মেধার ভিত্তিতে ৫০ শতাংশ ছেলে ও ৫০ শতাংশ মেয়ে শিক্ষার্থী ট্যালেন্টপুল ও সাধারণ গ্রেডে বৃত্তি পাবে। তবে, সমান নম্বর পেলে আগে দেখা হবে বাংলা, ইংরেজি ও গণিতের ফল। এরপরও যদি ক্রম নির্ধারণ করা না যায়, তবে সমান নম্বর পাওয়া সব শিক্ষার্থীকেই বৃত্তি দেওয়া হবে।

সম্প্রতি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব রেহেনা পারভীনের সই করা নতুন নীতিমালায় এসব বিষয় জানানো হয়েছে। নীতিমালা অনুযায়ী, বাংলা, ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান এবং বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়— এই পাঁচটি বিষয়ে পরীক্ষা নেওয়া হবে। এর মধ্যে বাংলা, ইংরেজি ও গণিত বিষয়ে ১০০ নম্বর করে এবং বিজ্ঞান ও বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ে ৫০ নম্বর করে অর্থাৎ মোট ৪০০ নম্বরের ওপর পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

প্রতিটি পরীক্ষার সময় থাকবে তিন ঘণ্টা। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত ৩০ মিনিট সময় বরাদ্দ থাকবে। পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হবে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) প্রণীত অষ্টম শ্রেণির বইয়ের ভিত্তিতে।

যেসব শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করতে পারবে বৃত্তি পরীক্ষায়

চলতি বছর অনুমোদিত ও স্বীকৃত মাধ্যমিক ও নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মধ্যে সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশকে এ পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়া হবে। নীতিমালা অনুযায়ী, সপ্তম শ্রেণির সব প্রান্তিক পরীক্ষার সামষ্টিক ফলের ভিত্তিতে এ তালিকা তৈরি করা হবে। তবে, জাতীয় স্টিয়ারিং কমিটি সময়ে সময়ে অংশগ্রহণের এ সংখ্যা পুনর্নির্ধারণ করতে পারবে। এছাড়া কোনো শিক্ষার্থী যদি একটি প্রতিষ্ঠান থেকে ছাড়পত্র নিয়ে অন্য বিদ্যালয়ে অষ্টম শ্রেণিতে ভর্তি হয়, তবে পূর্ববর্তী বিদ্যালয়ের মেধাক্রমের ভিত্তিতে তাকে পরীক্ষার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। যদি সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নয় এমন কারও অংশগ্রহণের অভিযোগ প্রমাণিত হয়, তবে সংশ্লিষ্ট প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং শিক্ষার্থীর প্রার্থিতা বা ফলাফল বাতিল করা হবে।

যেভাবে কাঠামোয় বৃত্তি পাবে শিক্ষার্থীরা

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের প্রাপ্ত সর্বোচ্চ নম্বরের ভিত্তিতে মেধা ও কোটাভিত্তিক বৃত্তি প্রদান করা হবে। এ বৃত্তি মূলত দুই ধরনের হবে। একটি হচ্ছে ‘ট্যালেন্টপুল বৃত্তি’ এবং অন্যটি ‘সাধারণ বৃত্তি’। এক্ষেত্রে প্রতিটি উপজেলা বা থানাভিত্তিক বৃত্তি দেওয়া হবে এবং ছাত্র-ছাত্রী উভয়ের জন্য সমান হারে ৫০ শতাংশ করে কোটা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে নির্ধারিত কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে ছাত্রের বৃত্তি ছাত্রী দ্বারা এবং ছাত্রীর বৃত্তি ছাত্র দ্বারা পূরণ করার বিধান রাখা হয়েছে।

নীতিমালা অনুযায়ী, বাংলা, ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান এবং বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়— এই পাঁচটি বিষয়ে পরীক্ষা নেওয়া হবে। এর মধ্যে বাংলা, ইংরেজি ও গণিত বিষয়ে ১০০ নম্বর করে এবং বিজ্ঞান ও বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ে ৫০ নম্বর করে অর্থাৎ মোট ৪০০ নম্বরের ওপর পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে

ট্যালেন্টপুল বৃত্তি উপজেলা বা থানার সর্বোচ্চ নম্বরপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের মেধাক্রম অনুযায়ী বণ্টন করা হবে। এক্ষেত্রে প্রতিটি উপজেলা বা থানার জন্য পূর্বনির্ধারিত সংখ্যক বৃত্তি বরাদ্দ থাকবে, যা নির্ধারিত হবে একটি ফর্মুলার মাধ্যমে। ফর্মুলা অনুযায়ী, জাতীয়ভাবে নির্ধারিত মোট ট্যালেন্টপুল বৃত্তির সংখ্যা ও সংশ্লিষ্ট উপজেলা বা থানার পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বিবেচনা করে বরাদ্দ নির্ধারণ করা হবে। তবে বিজোড় সংখ্যক ট্যালেন্টপুল বৃত্তি প্রদানের ক্ষেত্রে ছেলে বা মেয়ে নয়, বরং সর্বোচ্চ প্রাপ্ত নম্বরকে গুরুত্ব দেওয়া হবে। একই নীতি সাধারণ বৃত্তির ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে।

জানা গেছে, সাধারণ বৃত্তি দেওয়ার ক্ষেত্রেও উপজেলাভিত্তিক সর্বোচ্চ নম্বরধারী শিক্ষার্থীদের মেধাক্রম অনুযায়ী সমানভাবে বণ্টন করা হবে। এখানেও ৫০ শতাংশ ছেলে ও ৫০ শতাংশ মেয়ের জন্য কোটা নির্ধারিত থাকলেও প্রয়োজন হলে কোটাভিত্তিক আসন অদলবদল করা যাবে।

তবে বৃত্তি দেওয়ার সময় যদি কোনো শিক্ষার্থী অন্য শিক্ষার্থীর সমান নম্বর অর্জন করে, তবে অগ্রাধিকার নির্ধারণ করা হবে বিষয়ভিত্তিক ফলাফলের ওপর। এক্ষেত্রে যথাক্রমে বাংলা, ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান এবং বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ে বেশি নম্বরপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। এরপরও যদি একাধিক শিক্ষার্থীর সব বিষয়েই নম্বর সমান হয়, তাহলে তাদের সবাইকে বৃত্তি দেওয়া হবে।

পরীক্ষা নিয়ন্ত্রণে জাতীয় পর্যায় থেকে স্তরভিত্তিক কমিটি

নীতিমালায় জানানো হয়েছে, পরীক্ষা পরিচালনার জন্য গঠন করা হয়েছে বিভিন্ন স্তরের কমিটি। এর মধ্যে জাতীয় স্টিয়ারিং কমিটি সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ভূমিকা পালন করবে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এর সভাপতি থাকবেন এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব, অতিরিক্ত সচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের প্রতিনিধিরা সদস্য হিসেবে থাকবেন। এ কমিটি পরীক্ষার সার্বিক কার্যক্রম তত্ত্বাবধান, নির্দেশনা প্রদান ও নির্বাহী কমিটির কার্যক্রম অনুমোদন করবে।

এছাড়া, নির্বাহী কমিটি গঠন করা হয়েছে পরীক্ষার বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এর আহ্বায়ক থাকবেন এবং শিক্ষা বোর্ডগুলোর চেয়ারম্যান, পরিচালক, আঞ্চলিক পরিচালক, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এর সদস্য হবেন। এই কমিটি বাজেট প্রণয়ন, প্রশ্নপত্র প্রণয়ন ও বিতরণ, সময়সূচি নির্ধারণ, ফলাফল প্রকাশ, ফি নির্ধারণসহ সামগ্রিক দায়িত্ব পালন করবে।

জেলা পর্যায়েও আলাদা কমিটি গঠন করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক সভাপতি এবং পুলিশ সুপার, সিভিল সার্জন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি), উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, জেলা শিক্ষা অফিসারসহ বিভিন্ন কর্মকর্তা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকরা এই কমিটির সদস্য হিসেবে থাকবেন। জেলা কমিটি জাতীয় ও নির্বাহী কমিটির নির্দেশনা অনুযায়ী পরীক্ষা পরিচালনা করবে, পরীক্ষার নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা নিশ্চিত করবে এবং নির্ধারিত সময়ে উত্তরপত্র মূল্যায়ন শেষে বোর্ডে পাঠাবে।

আর পরীক্ষা পরিচালনায় উপজেলা কমিটি গঠন করা হয়েছে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সভাপতিত্বে। এই কমিটির সদস্য হিসেবে থাকবেন সহকারী কমিশনার (ভূমি), স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, থানার ওসি, শিক্ষা অফিসারসহ সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা। এ কমিটি পরীক্ষা কেন্দ্র নির্বাচন, কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, হল সুপার ও ইনভিজিলেটর নিয়োগ, প্রশ্নপত্র সংরক্ষণ ও বিতরণসহ সার্বিক ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করবে।

অন্যদিকে, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের দায়িত্বের মধ্যে রয়েছে প্রশ্নপত্র প্রণয়ন, মুদ্রণ, নিরাপত্তা ব্যবস্থা, কেন্দ্রীয়ভাবে উত্তরপত্র সংগ্রহ ও ফলাফল প্রক্রিয়াকরণ। আর অন্য শিক্ষা বোর্ডগুলো শিক্ষার্থীদের ফরম পূরণ, ফলাফল প্রক্রিয়াকরণে সহযোগিতা এবং জাতীয় কমিটির সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে কাজ করবে।

পরীক্ষা হবে উপজেলা সদরে

প্রতিটি উপজেলা সদরে পরীক্ষা কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। কেন্দ্র নির্বাচনের ক্ষেত্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা, যাতায়াত ব্যবস্থা ও অবকাঠামোগত সুবিধা বিবেচনায় রাখা হবে। প্রবেশপত্র পরীক্ষার অন্তত সাত দিন আগে বিতরণ করতে হবে। কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ পাবেন প্রথম শ্রেণির কর্মকর্তা এবং কেন্দ্রসচিব হবেন সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।

অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীর সংখ্যা সীমিত রাখার ফলে প্রতিযোগিতা হবে গুণগত, আর স্বচ্ছ ফর্মুলার মাধ্যমে উপজেলা-থানাভিত্তিক বৃত্তি বণ্টন করার কারণে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিক্ষার্থীরাও সমান সুযোগ পাবে। পরীক্ষা পরিচালনা, প্রশ্ন প্রণয়ন ও ফলাফল প্রকাশে বহুমাত্রিক কমিটি গঠন করা হয়েছে, যা পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে আয়োজন ও শিক্ষার্থীদের প্রতি আস্থা তৈরিতে ভূমিকা রাখব
ড. খান মইনুদ্দিন আল মাহমুদ সোহেল, পরিচালক (মাধ্যমিক), মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ড

পরীক্ষা সুষ্ঠু করতে ব্যাপক কড়াকড়ি

পরীক্ষার সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশ বজায় রাখতে ব্যাপক কড়াকড়ি আরোপের সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, পরীক্ষার দিন প্রশ্ন পর্যাপ্ত নিরাপত্তার সাথে ট্রেজারি থেকে সংগ্রহ করে নির্ধারিত সময়ে কেন্দ্রে পৌঁছানো হবে। আর কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কাছে পরীক্ষার এক ঘণ্টা আগে প্রশ্নপত্র হস্তান্তর করা হবে। পরীক্ষা চলাকালীন কেন্দ্রের ১০০ গজ এলাকায় সাধারণ মানুষের প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকবে। পরীক্ষা শেষে উত্তরপত্র প্যাকেটজাত করে পুলিশ প্রহরায় জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠানো হবে।

ইনভিজিলেটরদের (কক্ষ পরিদর্শক) জন্যও কঠোর নীতিমালা নির্ধারণ করা হয়েছে। তারা নিজ কর্মস্থলে কেন্দ্রে বা যেখানে সন্তান বা পোষ্য পরীক্ষার্থী, সেখানে দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না। প্রতি ২৫ জন পরীক্ষার্থীর জন্য একজন ইনভিজিলেটর নিয়োগ করতে হবে। তাদের পরীক্ষা শুরু হওয়ার অন্তত ৪৫ মিনিট আগে কেন্দ্রে উপস্থিত থাকতে হবে।

পরীক্ষা শেষে টপশিট, উত্তরপত্র ও অন্যান্য কাগজপত্র যথাযথভাবে জমা দিতে হবে। কোনো উত্তরপত্র বা প্রশ্নপত্র হারিয়ে গেলে সঙ্গে সঙ্গে জিডি করতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট বোর্ডকে জানাতে হবে। ফলাফল নির্ধারিত সময়ে প্রকাশ করবে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। ভুল পাওয়া গেলে তা সংশোধন বা বাতিল করার ক্ষমতাও থাকবে তাদের হাতে।

একইসাথে নতুন এ নীতিমালা জারির মাধ্যমে জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষার পূর্বের সব নীতিমালা বাতিল করা হয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।

নতুন নীতিমালা শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশে বড় ভূমিকা রাখবে : মাউশি পরিচালক

নতুন নীতিমালা শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশে বড় ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাবোর্ডের মাধ্যমিক শাখার পরিচালক ড. খান মইনুদ্দিন আল মাহমুদ সোহেল। ঢাকা পোস্টকে তিনি বলেন, ‘এতে শিক্ষার্থীরা শুধু পরীক্ষার জন্য নয়, বরং তাদের মৌলিক দক্ষতা, সৃজনশীলতা ও প্রতিযোগিতার মনোভাব গড়ে তুলতে উৎসাহিত হবে। ছেলে-মেয়ের সমান কোটা এবং উপজেলাভিত্তিক বৃত্তি বণ্টনের ফলে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মেধাবীরাও জাতীয় পর্যায়ে নিজেদের জায়গা করে নিতে পারবে। আমরা বিশ্বাস করি, এ পদক্ষেপ ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে আরও আত্মবিশ্বাসী ও যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে সহায়তা করবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীর সংখ্যা সীমিত রাখার ফলে প্রতিযোগিতা হবে গুণগত, আর স্বচ্ছ ফর্মুলার মাধ্যমে উপজেলা-থানাভিত্তিক বৃত্তি বণ্টন করার কারণে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের শিক্ষার্থীরাও সমান সুযোগ পাবে। পরীক্ষা পরিচালনা, প্রশ্ন প্রণয়ন ও ফলাফল প্রকাশে বহুমাত্রিক কমিটি গঠন করা হয়েছে, যা পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে আয়োজন ও শিক্ষার্থীদের প্রতি আস্থা তৈরিতে ভূমিকা রাখবে।’

তিনি মন্তব্য করেন, এই পদক্ষেপ শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় আগ্রহ বাড়াবে এবং তাদের ভবিষ্যতের প্রতিযোগিতামূলক জীবনের জন্য ভালোভাবে প্রস্তুত হতে সহায়তা করবে।

সূত্র- ঢাকা পোস্ট

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।