মো: সোহেল আরমান, স্টাফ রিপোর্টার: কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ক্যামব্রিয়ান উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জহিরুল ইসলাম ও শিক্ষক প্রতিনিধি ইউনুস এর বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে।
ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, কোচিং এ না যাওয়ার অজুহাতে গত ৮ তারিখ মঙ্গলবার বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক স্কুলের কক্ষে প্রবেশ করে ১০ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী নাছরিন আলম রাদিয়া’কে পকেটে টাকা আছে কিনা জিগ্যেস করে স্কুল ড্রেস এর পকেটে হাত ঢুকিয়ে স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেন এবং উত্যক্ত করেন।তিনি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হওয়ায় মেয়ে শিক্ষার্থীরা এমন অনৈতিক কর্মকান্ড মুখ বুজে সহ্য করে আসছিলো। মুখ বুজে সহ্য করার কারণে দিনের পর দিন এই শিক্ষক আরও বেপরোয়া হয়ে উঠে। এই বিষয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর অভিযোগ জমা দেওয়ার পর সাংবাদিকদের জানান,প্রধান শিক্ষক এর বেপরোয়া কর্মকান্ডের কারণে তারা সুষ্ঠুভাবে শ্রেণী কার্যক্রমে অংশ গ্রহণ করে মনোযোগ সহকারে পড়াশোনা করতে পারছে না।এমনকি প্রত্যেকটি শিক্ষার্থীকে কোচিং করতে বাধ্য করেন তিনি।কেউ কোচিং না করলে পরিক্ষায় অকৃতকার্য করে দিবে হুমকি প্রদর্শন করেন বলেও জানিয়েছেন তারা।
এই বিষয়ে স্কুল ম্যানেজিং কমিটি’র সভাপতি সাদ্দাম হোসেন নিশান কে অবগত করলে তিনি উক্ত ঘটনাকে ধামাচাপা দিতে স্বাভাবিক বিষয় বলে এড়িয়ে যান।
তারই ধারাবাহিকতা’য় ১০ ই জুলাই, বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে বারোটা’র দিকে ক্যামব্রিয়ান স্কুল এর সামনে রাস্তা ব্লক করে অত্র স্কুলের শিক্ষার্থী ও অভিভাবক’দের নিয়ে একটি মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এদিকে, মানববন্ধনের এক পর্যায়ে সমাধানের কথা বলে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক জহিরুল ইসলাম শিক্ষক প্রতিনিধি ইউনুস কে দিয়ে অভিভাবক’দের স্কুলের অফিস কক্ষে ডেকে নিয়ে গিয়ে অতঃপর অশালীন গালি গালাজ ও শ্লীলতাহানি করেন যার একটি ভিডিও রেকর্ডিং প্রতিবেদকের হাতে রয়েছে। এবং অভিভাবকদের তাড়াতে কিছু ভাড়াটে সন্ত্রাস এনে মানববন্ধন ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে বলেও জানা যায়। শিক্ষকদের এমন অশালীন গালি গালাজ ও অনৈতিক কর্মকান্ডে ক্ষিপ্ত হয়ে অভিভাবক ও শিক্ষকদের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও তর্কের এক পর্যায়ে শিক্ষকদের উপর চওড়া হয়ে আক্রমণ করেন অভিভাবক ও সাধারণ জনগণ।পরিশেষে শিক্ষক’দের দোষ এড়াতে হামলার ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রভাবিত করছে বলেও জানিয়েছেন ভুক্তভোগী’রা।
এই বিষয়ে প্রধান শিক্ষক জহিরুল ইসলাম এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রত্যেকটি শিক্ষার্থী আমার সন্তান এর মতো।এমনকি আমার স্কুলের শিক্ষার্থীদের চেয়েও বয়সে বড় আমার সন্তান রয়েছে। প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে অনৈতিক সুবিধা ভোগ করতে না পেরে শিক্ষকদের মধ্যে একটি কুচক্রী মহল আমার সন্তানতুল্য শিক্ষার্থীদের আমার বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিচ্ছে। যা ঐ কুচক্রী মহল ছাড়া আর কেউ নয়।আমার স্কুলের প্রত্যেকটা ক্লাস রুম সিসিটিভির আওতাধীন। সেসব সিসি টিভি ফুটেজে যদি আমার এমন কর্মকান্ড দেখেন তাহলে আমি নিজ থেকে প্রধান শিক্ষক এর পদ থেকে পদত্যাগ করবো এবং বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী আমার যা শাস্তি হবে আমি মাথা পেতে নিবো।