চট্টগ্রাম নগরের পাঁচলাইশ এলাকার একটি বাসা থেকে প্রায় ৫০ ভরি স্বর্ণ চুরির ঘটনায় মূল অভিযুক্ত গৃহপরিচারিকার মেয়েসহ মোট চার নারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে ১৬ ভরি স্বর্ণ, স্বর্ণ বিক্রির নগদ অর্থ এবং সেই টাকায় কেনা আইফোনসহ অন্যান্য মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে।
শনিবার (৪ অক্টোবর) কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব থানা এবং নরসিংদী জেলার রায়পুরা থানা এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে এই চার নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন— গৃহপরিচারিকার মেয়ে সুমাইয়া ইয়াসমিন সাথী (১৯), তার সহযোগী ইভা বেগম (৩২), হাসেনা বেগম (৬৭) এবং শান্তা আক্তার নিলা (২৬)।
পুলিশ জানিয়েছে, তাদের কাছ থেকে মোট ১৬ ভরি স্বর্ণালঙ্কার, স্বর্ণ বিক্রির ৬ লাখ ৪০ হাজার টাকা (নগদ ৯০ হাজার ও সাড়ে ৫ লাখ) এবং সেই টাকায় কেনা স্যামসাং ও আইফোন মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়াও, তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে দুটি জুয়েলারির দোকান থেকে গলানো স্বর্ণের দুটি পাতও উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ২১ আগস্ট বিকেলে নগরের পাঁচলাইশ থানা এলাকার একটি বাসা থেকে মোট ৪৯ ভরি ৮ আনা স্বর্ণালঙ্কার চুরি হয়, যার আনুমানিক মূল্য ৭৪ লাখ ২৫ হাজার টাকা।
এ ঘটনায় গত ২৭ আগস্ট ঘরের গৃহকর্ত্রী উম্মুল খায়ের আমিন বাদী হয়ে পাঁচলাইশ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পাঁচলাইশ থানার উপপরিদর্শক মো. আশরাফ উদ্দিন জানান, বাদী উম্মুল খায়ের আমিনের বাসায় গৃহপরিচারিকা পারভীন আক্তার দীর্ঘ আট বছর ধরে কাজ করতেন। সেই সুবাদে তার মেয়ে আসামি সুমাইয়া ইয়াসমিন সাথী প্রায়ই ওই বাসায় যাতায়াত করতেন।
মামলা দায়েরের পর তদন্তে চুরির সঙ্গে সুমাইয়া ইয়াসমিন সাথীর সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়। তদন্তকারী কর্মকর্তা শনিবার ভোরে কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে সুমাইয়া ইয়াসমিন সাথী ও ইভা বেগমকে গ্রেপ্তার করেন। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে হাসেনা বেগম ও শান্তা আক্তার নিলাকে নরসিংদীর রায়পুরা থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ সোলাইমান নিশ্চিত করেন যে, গ্রেপ্তারকৃত চার আসামিকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।