ঢাকামঙ্গলবার , ২২ জুলাই ২০২৫
  1. অন্যান্য
  2. অর্থনীতি
  3. আইন ও বিচার
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আবহাওয়া
  6. ইসলাম ও ধর্ম
  7. কৃষি
  8. ক্যাম্পাস
  9. ক্রিকেট
  10. খেলাধুলা
  11. চাকরি
  12. জাতীয়
  13. তথ্য প্রযুক্তি
  14. দেশজুড়ে
  15. নগর-মহানগর
আজকের সর্বশেষ সবখবর

ইসলামোফোবিয়ার ঘন-গাঢ় মেঘ জমেছে বাংলার আকাশে

লেখক : ইউনুস আহমেদঃ
জুলাই ২২, ২০২৫ ৪:২৬ অপরাহ্ণ
Link Copied!

লেখক : ইউনুস আহমেদঃ

ইসলামোফোবিয়া, In English: Islamophobia হল এমন একটি শব্দ যার অর্থ : ইসলামকে ভয় করা, অথবা ইসলাম বা মুসলমানদের প্রতি বিদ্বেষ পোষণ করা। মুসলিমরা বিষেশত অমুসলিম প্রধান দেশে সবচেয়ে বেশি ইসলাম-বিদ্বেষ এর স্বীকার হয়।

সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানদের দেশ হয়েও বাংলাদেশ ও তার ব্যাতিক্রম নয়।

আন্তর্জাতিক লেবাসধারী সুশীলরা সময়ে সময়ে মুসলিম দরদী সেজে মাথায় হাত বুলিয়ে দেয়। মঞ্চে কথা ও বলে কিন্তু কার্যকরী কোনো পদক্ষেপ তারা গ্রহণ করে না।

এরই ধারাবাহিকতায় বিবিসি নিউজে আসছে, গত ১৫ মার্চ ২০২৪ ইসলামভীতি মোকাবেলায় আন্তর্জাতিক দিবসে বিষয়টি নিয়ে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে একটি পর্যালোচনামূলক অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। Measure to Combat Islamophobia’ তথা ‘ইসলামোফোবিয়া মোকাবেলায় পদক্ষেপ’ শিরোনামে একটি নতুন প্রস্তাব গৃহীত হয়। উত্থাপিত প্রস্তাবে ইসলামোফোবিয়া মোকাবেলায় জাতিসংঘের একজন বিশেষ দূত নিয়োগ করতে সংস্থাটির মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের প্রতি আহ্বান জানানো হয়। প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয় ১১৫টি দেশ। তবে পক্ষে ছিল না ভারত, ব্রাজিল, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, ইউক্রেন ও ব্রিটেনসহ ৪৪টি দেশ। উল্লেখ্য যে, ভোটদানে বিরত থাকা এইসব দেশে ইসলাম ও মুসলমানদের বিরুদ্ধে ব্যাপক হিংসাত্মক কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।

ভারতে মসজিদ ভেঙে মন্দির গড়া, নারীদের হিজাব নিয়ে টানাহেঁচড়া, নামাজে বাধা সহ নানামুখী নির্যাতন নিপীড়ন চালিয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত মুসলমানদের উপর। উগ্র হিন্দুত্ববাদিরা নতুন নাগরিকত্ব আইন পাসের নামে মুসলমানদের নাগরিকত্ব হরণের চেষ্টা করছে।

বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে ক্ষমতার পালাবদলে যারাই চেয়ারে বসেন প্রত্যেক বারেই ইসলাম জুলুমের শিকারে পরিণত হয়। বিগত স্বৈরশাসকের আমলে ইসলাম এত বেশি নিপীড়িত হয়েছে যা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল। মসজিদে হামলা, নবীজির সুন্নাত দাড়ি নিয়ে টানাটানি, বিদ্যালয়ে হিজাব বিরোধী আইন প্রনয়ণ, মুসলমানদের কেবলই দাড়ি-টুপি থাকায় জঙ্গি ট্যাগ লাগিয়ে কারাবন্দী, ইসলামি তাহজিব তামাদ্দুনের কথা বলাই মিথ্যা মামলার আসামি করা সহ অসংখ্য নির্যাতনের নজির স্থাপন করা হয়। ইসলামকে প্রাতিষ্ঠানিক পাঠ্যসূচি ও বক্তব্যে সীমাবদ্ধতার রোল করে দিয়েছিল যে, নামাজ, রোজা, হজ্জ, তাসবীহ-তাহলিল,আত্মীয়তার সম্পর্ক, রোগমুক্তি, রোগীর সেবা, পিতামাতার হক্ব,পরিচ্ছন্নতা, শিষ্টাচার, মেজাহ তথা কৌতুক, ইত্যাদি ব্যাতিত রাষ্ট্র পরিচালনা, জিহাদ, রাজনীতি বিবিধ বিষয়ে আলোচনা না করতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। এখন আল্লাহর অশেষ কৃপায় সেই আত্মম্ভরি স্বৈরাচারীর পতন হয়েছে বটে ইসলাম বিদ্বেষ এখনো রয়ে গেছে।  বাংলাদেশের তৃণমূল পর্যায়ের জেলে তাঁতি থেকে শুরু করে শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক সহ জাতীয় ব্যাক্তিত্বের শেকড়ে  ইসলামোফোবিয়া তথা ইসলামে অনিহা, ঘৃণা পরিলক্ষিত হওয়া নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার। সমকালীন যাপিত জীবনে বাঙালি মুসলমান বিষ্ময়কর ঘটনাবলীর স্বাক্ষী হইতেছে, তা হলো যারা বিগত আমলে এদেশের আলেম উলামাদের সুরে সুর মিলিয়ে ইসলাম ও মানবতার কথা বলে মুখে ফেনা তুলেছিল, কেমন জানি তাঁরাই আজ দলান্ধতায় ইসলাম ও মানবতাবিধ্বংসী অকার্য সম্পাদন এবং বাক্যবিলাশে ব্যাস্ত। এ যেন ভিনদেশী অপসংস্কৃতির এজেন্ডা বাস্তবায়নের গোপন ষড়যন্ত্র।

ষড়যন্ত্রের মূল মাস্টারমাইন্ড কিন্তু বহিরাগত ইউরোপীয় সন্ত্রাসী গোষ্ঠী। তারা এ দেশে যেমন গণতন্ত্র, পুঁজিবাদ, সমাজতন্ত্রবাদ,জাতীয়তাবাদ, ধর্মনিরপেক্ষতাবাদের মতো ইসলামবিরোধী রাষ্ট্রব্যবস্থা পুশ করার মাধ্যমে ষড়যন্ত্র করেছে, তেমনই পার্বত্যচট্টগ্রাম কেন্দ্রিক বিভিন্ন উপজাতিদের স্বদেশবিরোধী যুদ্ধে ব্যাস্ত রেখেছে। এ দেশের মাটি ও মানুষের আবেগ অনুভুতি নিয়ে ষড়যন্ত্র বহুপুরোনো এবং সুনিবিড়ে।

সম্প্রতি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দুঃসময়ের বন্ধু নয় বরং সাজানো হয়েছে। তার স্বরুপ প্রকাশিত হচ্ছে নানাবিধ কার্যকলাপের মাধ্যমে। এলজিবিটি তথা সমকামিতার মতো পাপকর্ম, নাস্তিক্যবাদ, পশ্চিমা নানা উলঙ্গ অনাদর্শ বাঙালি জাতির রক্তের সাথে মিশিয়ে দিচ্ছে। ইন্টেরিম গভর্মেন্টের প্রায় সদস্য পাশ্চাত্ত্য কর্তৃক নিয়জিত। যারা ধর্মপ্রাণ ছাত্রসমাজের রক্তের উপর দিয়ে ক্ষমতায় বসে চলনারুপে ওয়াশিংটনের গীত গাই। তার স্বরুপ হিসেবে মার্কিন বাহিনী প্রশিক্ষণের নামে ইতিমধ্যে বাংলাদেশের কক্সবাজার, সিলেট সহ বহু জায়গায় ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। হতে পারে মধ্যপ্রাচ্যের আরব দেশগুলোর মতো মার্কিন ঘাটি নির্মাণ করা খুব বেশি দুরে নয়। অন্যদিকে জনদরদী সেজে  জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদ গঠন এ জাতির পারষ্পরিক আন্তঃসম্পর্কে ফাটল এবং সিংহভাগ মুসলমানদের আবেগ নিয়ে ছিনিমিনি খেলার নব পায়তারা।

যারদরুন সরলমনা প্রাকটিকাল মুসলিমস দের দৈনন্দিন যাপিত জীবনে বাধা আসবে চতুর্দিক থেকে। জঙ্গি ট্যাগে জেলে ভরা, নারীদের হিজাব পরিধানে বাধা, ধর্মীয় আলোচনায় সীমাবদ্ধতা, পাঠ্যসূচিতে যৌনতা টিচিং সহ রকমারি মুসলিমনিধনের হুকুম অতিসন্নিকটে। কেননা ইসলামোফোবিক রা চাই ইসলামবিদ্ধেষ বিশ্বময় চড়িয়ে দিয়ে জনমনে আতঙ্কের বিস্তার ঘটিয়ে নিজেদের অবস্থান পাকাপোক্ত করতে। তারই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ ও ঐ শকুনের নজর এড়াতে ব্যার্থ হওয়ায় ফিলিস্তিন, ইরানের দুর্দশা আমাদের ঘাড়ে চেপে বসবে। বিশ্বমোড়লরা যদি বাস্তবিক মানবিক হতো তাহলে মানবাধিকার পরিষদ সর্বাগ্রে ফিলিস্তিন সিরিয়ায় প্রয়োজন। যেখানে মানবতা ভূলন্ঠিত হয় যত্রতত্র। অবুঝ শিশুরা কোলেই নিঃশেষ হয়ে যায়।  অথচ এদের পক্ষে কোন প্রতিক্রিয়া নাই আর এখানে আসছে কমিশন গঠন করতে। সুতরাং এটি মানবাধিকার কমিশন নয় বরং মানবতা বিধ্বংসী প্রকৃয়া। যাতে  ইসলাম বিবর্জিত কুফরি শক্তির তাঁবেদারি আত্মাবশ্যম্ভাবি।

অতএব উপসংহার হলো এ দেশের ধর্মপ্রাণ তৌহীদি দেশপ্রেমিক জনতা সুচতুর স্থিতধী ব্যক্তিদের  তত্ত্বাবধানে সকলে একসঙ্গে অতন্দ্র প্রহরীর ভুমিকায় অবতীর্ণ হতে হবে, যেন এ দেশের মাটির এক ইঞ্চি জায়গা ও পরহস্তগত না হয় এবং একজন সাধারণ মুসলমান ও নিপীড়িত নাহয়। সময়ে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে খোদা না করুন বহিরাগত পরাশক্তির পাশাপাশি ৫৬ হাজার বর্গমাইল থেকেও ষড়যন্ত্রের দাবানল জলে উঠবে স্বদেশ-স্বজাতির বিরুদ্ধে। তখন অশ্রুসিক্ত দোয়া মোনাজাত আর ভূগর্ভে অবস্থান নিয়েও রক্ষা হবে না।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।