ঢাকাশুক্রবার , ৩ অক্টোবর ২০২৫
  1. অন্যান্য
  2. অর্থনীতি
  3. আইন ও বিচার
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আবহাওয়া
  6. ইসলাম ও ধর্ম
  7. কৃষি
  8. ক্যাম্পাস
  9. ক্রিকেট
  10. খেলাধুলা
  11. চাকরি
  12. জাতীয়
  13. তথ্য প্রযুক্তি
  14. দেশজুড়ে
  15. নগর-মহানগর
আজকের সর্বশেষ সবখবর

আজ মধ্যে রাত থেকে ২২ দিন মেঘনায় মাছ ধরা নিষিদ্ধ

আশিকুর রহমান শান্ত, ভোলা প্রতিনিধি:-
অক্টোবর ৩, ২০২৫ ২:২৮ অপরাহ্ণ
Link Copied!

জাটকা সংরক্ষণ ও মা ইলিশ রক্ষায় এবং ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে আজ থেকে (৪ অক্টোবর) আগামী ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত ২২ দিন নদীতে সব ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ করেছে সরকার। নদী-সাগরে ইলিশসহ সব ধরনের মাছ ধরা, পরিবহন, বাজারজাত ও মজুত সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকবে আগামী ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত। এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছে ভোলার মেঘনা, তেঁতুলিয়া, কালাবাদর, বেতুয়া ও ইলিশা নদী।

মেঘনা নদীর চর ইলিশা থেকে চর পিয়াল পর্যন্ত ৯০ কিলোমিটার এবং তেঁতুলিয়া নদীর ভেদুরিয়া থেকে চর রুস্তম পর্যন্ত ১০০ কিলোমিটারে সকল প্রকার মাছ ধরা বন্ধ থাকবে।

সরকারের এই নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়নে ইতোমধ্যে মৎস্য বিভাগ, জেলা-উপজেলা প্রশাসন, নৌ-পুলিশ ও কোস্টগার্ডের সমন্বয়ে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে জেলা ও উপজেলা টাস্কফোর্স। জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে উপকূলীয় এলাকায় চালানো হচ্ছে সচেতনামূলক প্রচারণা।

জেলা মৎস্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ইলিশের নিরাপদ প্রজনন এবং বেড়ে ওঠার জন্য প্রতি বছর মেঘনা ও তেঁতুলিয়া’সহ সংযোগ নদী গুলোতে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন তারা। ভোলার ৭টি উপজেলার নিবন্ধিত জেলের সংখ্যা ১ লক্ষ ৬৯ হাজার ৮ শত ৮৬ জন। তবে, বেসরকারি হিসাব অনুযায়ী এই সংখ্যা প্রায় আড়াই লাখ পর্যন্ত হতে পারে।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা ইকবাল হোসেন সাংবাদিকদের জানান, এ নিষেধাজ্ঞা সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত। নিষেধাজ্ঞাকালীন জেলার নিবন্ধিত জেলারা ২৫ কেজি করে চাল পাবেন। ইতিমধ্যে ওই চালের বরাদ্দ দেয়া হয়েছে বলেও জানান এ কর্মকর্তা।

এদিকে সাম্প্রতিক মৌসুমের শুরুতে ভোলার নদনদী ছিলো ইলিশ-শূন্য। কিন্তু মৌসুমের শেষ ভাগে যেমূহুর্তে ইলিশের মুখ দেখা শুরু করলো জেলেরা সেমুহুর্তেই ইলিশ ধরায় আসলো নিষেধাজ্ঞা। এতে ভোলার জেলেরা হতাশ। তারা বলছেন, নদীতে ইলিশ না থাকায় পুরো মৌসুমেই আমরা বেকার সময় কাটিয়েছি কিন্তু যখন ইলিশ পাওয়া শুরু হলো তখন আবার নিষেধাজ্ঞা আমাদের জন্য ক্ষতির কারণ হয়েছে।

ভোলা সদরের তুলাতুলি মাছঘাটের আড়ৎ মালিক নোয়াব জানান, ভরা মৌসুমে ইলিশ না পেয়ে আমরা যেমন ক্ষতিগ্রস্ত তেমনি জেলেরাও হতাশ। তাই ১২ অক্টোবর থেকে নিষেধাজ্ঞা দিলে সবারই ভলো হতো।

নাছির মাঝি মৎস্য অবতরন কেন্দ্রর জেলে নিজাম মাঝি, কালু ও মাইনুদ্দিন মাঝি বলেন, নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়ে আমাদেরকে যথাযথ সাহায্য করলে আমরা লোকসান ও ক্ষতি থেকে কিছুই মুক্তি পাবো।

তথ্যমতে গত শনিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) মৎস্য উপদেষ্টা ফরিদা আখতার আন্ত:মন্ত্রনালয়ের বিশেষ সভায় ‘মা’ ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা নিয়ে বিষদ আলোচনা করেন। তিনি বলেন, আশ্বিনী পূর্ণিমার আগের চার দিন ও অমাবস্যার পরের তিন দিনকে অন্তর্ভুক্ত করে মোট ২২ দিন ‘মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান ২০২৫’ চলবে। এ অভিযানে মৎস্য কর্মকর্তাদের পাশাপাশি নৌ পুলিশ, কোস্টগার্ড, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অংশ নেবে।

এ সময় ৩৭ জেলার ১৬৫ উপজেলার ৬ লাখ ২০ হাজার জেলে পরিবারকে সরকারিভাবে ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় সহায়তা দেয়া হবে বলেও জানান সরকারের এই উপদেষ্টা।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।