জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে অব্যবস্থাপনা ও ফল প্রকাশে বিলম্বের প্রতিবাদে রাজধানী ঢাকায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির। শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় ছাত্রশিবির ঢাকা মহানগর পূর্ব শাখার উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
বায়তুল মোকাররম উত্তর গেট থেকে শুরু হয়ে মিছিলটি জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক সিবগাতুল্লাহ।
তিনি তার বক্তব্যে বলেন, ৯ সেপ্টেম্বরের ডাকসু নির্বাচনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ধারায় ফিরে এসেছে। ঢাবির শিক্ষার্থীরা জুলাই অভ্যুত্থানে ভূমিকা রাখা প্রতিনিধিদের নির্বাচিত করেছেন এবং দেশের সব ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীরাও এই ধারা অনুসরণ করতে চায়।
সিবগাতুল্লাহ অভিযোগ করেন যে, জাকসু নির্বাচনে প্রশাসন তালবাহানা শুরু করেছে। তিনি আরও বলেন, ছাত্রদল বহিরাগতদের নিয়ে মিছিল ও সমাবেশ করছে এবং একজন বহিরাগত ছাত্রদল নেতাকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি আরও দাবি করেন, লন্ডনের প্রেসক্রিপশনে বিএনপিপন্থী কিছু শিক্ষক নির্বাচন প্রক্রিয়া থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন, যা হতাশাজনক। তিনি শিক্ষকদের জুলাইয়ের আন্দোলনের চেতনা ধরে রাখার আহ্বান জানান।
৮ হাজার শিক্ষার্থীর ভোট নিয়ে “বাংলাদেশ থেকে লন্ডন পর্যন্ত ষড়যন্ত্র” হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন শিবিরের এই নেতা। তিনি বলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাই অপশক্তি ও ফ্যাসিবাদকে বিদায় দিয়েছে। তাই যদি গণতান্ত্রিক মত উপেক্ষা করা হয়, শিক্ষার্থীরা তা মেনে নেবে না। পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্রকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, “আপনাদের প্রেসক্রিপশনে আর বাংলাদেশ চলবে না।” তিনি ডাকসুতে ছাত্রশিবিরের বিজয়কে “শিক্ষার্থীদের বিজয়” উল্লেখ করে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ বন্ধ করার আহ্বান জানান।
শিবিরের এই নেতা অবিলম্বে জাকসু নির্বাচনের ফল প্রকাশের দাবি জানান এবং শিক্ষার্থীদের অনিশ্চয়তা থেকে মুক্তি দিতে বলেন। তিনি গণতান্ত্রিক মতামতের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়ে বলেন, অন্যথায় শিক্ষার্থীরা তাদের অধিকার আদায় করে ছাড়বে।

