চট্টগ্রামের প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ ও ক্রীড়া সংগঠক প্রফেসর শায়েস্তা খান ইন্তেকাল করেছেন। কোলন ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে সোমবার (২০ অক্টোবর) ভোর ৫টার দিকে নগরীর সার্জিস্কোপ হাসপাতালে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
বাদ আছর জমিয়তুল ফালাহ জাতীয় মসজিদে জানাজা শেষে তাঁকে মিসকিন শাহ মাজার সংলগ্ন কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
প্রফেসর শায়েস্তা খান ১৯৪৫ সালের ১০ জুন চট্টগ্রামের আলকরণে জন্মগ্রহণ করেন। চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল ও সরকারি কমার্স কলেজ থেকে শিক্ষা লাভের পর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৬০-৭০-এর দশকে তিনি সামরিক স্বৈরাচারবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে চট্টগ্রামের শীর্ষ ছাত্রনেতা ছিলেন।
পেশাগত জীবনে তিনি চট্টগ্রাম সরকারি কমার্স কলেজ, ঢাকার সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ এবং চট্টগ্রাম সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। খেলাধুলায় নিবেদিতপ্রাণ এই ব্যক্তি চট্টগ্রাম মহানগরী ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক হিসেবেও দীর্ঘদিন কাজ করেছেন।
তিনি চিটাগং মেট্রোপলিটন কমার্স কলেজ ও উদয়ন-ছোটদের স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা। ক্রীড়া সংগঠনে বিশেষ অবদানের জন্য ২০০১ সালে বাংলাদেশ ক্রীড়া লেখক সমিতি তাঁকে বর্ষসেরা ক্রীড়া সংগঠক নির্বাচিত করে।
এছাড়াও তিনি সাংবাদিকতায় সক্রিয় ছিলেন। ১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর তিনি ‘দৈনিক মিছিল’ পত্রিকা প্রকাশ করেন। তিনি নিয়মিত কলাম লিখতেন এবং শিক্ষার্থীদের জন্য ‘বাণিজ্যিক ও শিল্প আইন’ বইটি রচনা করেছেন।
প্রফেসর শায়েস্তা খান তাঁর স্ত্রীকে আগেই হারিয়েছেন। তিনি এক পুত্র ডা. ইশতেয়াক আজিজ খান, এক কন্যা ফারজানা জেসমিন খান, জামাতা মেরিনার ক্যাপ্টেন ফসিউর রহমান এবং নাতি-নাতনীসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

