পটিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি: ক্বলবুল কুরআন ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ-এর আয়োজনে ‘হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতা-২০২৬’-এর চট্টগ্রাম বিভাগের প্রথম অডিশন পর্ব পটিয়ায় সম্পন্ন হয়েছে। গত ২০ অক্টোবর সোমবার সকালে পটিয়া পৌরসভার ইন্দ্র পুল হল টুডে ক্লাবে রেজিস্ট্রেশন পর্বের মধ্য দিয়ে হাফেজদের এই সর্ববৃহৎ মিলনমেলা শুরু হয়।
সারাদিনব্যাপী চলা এই অডিশন পর্বে প্রায় ৩৫০ থেকে ৪০০ জন ১০ থেকে ১৫ বছর বয়সী কোমলমতি হাফেজ শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে। প্রতিযোগীদের প্রাণবন্ত ও সুশৃঙ্খল উপস্থিতিতে ক্লাবের হলরুমে এক উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়। স্বেচ্ছাসেবকদের তত্ত্বাবধানে প্রতিযোগীরা সুশৃঙ্খলভাবে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করে।
ক্বলবুল কুরআন ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ-এর চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আকতার উদ্দিন জানান, এ বছর তাঁরা উপজেলাভিত্তিক অডিশন পর্ব সম্পন্ন করেছেন। ভাইস চেয়ারম্যান হাফেজ মাওলানা ইয়াছিন আরাফাত বলেন, জাতিকে আলোকিত করতে তাঁরা প্রতি বছর আল্লাহর দেওয়া কুরআনের নূর সারা দেশের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে দিতে চান।
ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা সেলিম উদ্দীন চৌধুরী জানান, এত বিপুল সংখ্যক হাফেজের উপস্থিতি দেখে তিনি মুগ্ধ। তিনি আগামী ফাইনাল অনুষ্ঠানেও সবার উপস্থিতি কামনা করেন।
অডিশন পর্বে বিচারক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আল জামিয়া আল ইসলামিয়া পটিয়ার শিক্ষক হাফেজ মাওলানা আজিজুল হক, বাইতুশ্ শরফ পটিয়ার শিক্ষক হাফেজ মাওলানা মুহিব্বুল্লাহ, জামিয়া ইসলামিয়া পটিয়ার সাবেক শিক্ষক হাফেজ মাওলানা সাজ্জাদ হোসেন, মাওলানা ক্বারি মাহমুদউল্লাহ, মাওলানা ক্বারি ফরহাদসহ বরেণ্য হাফেজগণ।
পরে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আল জামিয়া ইসলামীয়া মাদ্রাসার সিনিয়র শিক্ষক মাওলানা ইরফান কাসেমী। ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা সেলিম উদ্দিন চৌধুরীর সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথি ছিলেন দারুত তাকওয়া মাদ্রাসার পরিচালক মাওলানা বেলাল উদ্দিন আযাদি।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাহামুদুল হাসান, মোরশেদুল আলম, মুহাম্মদ আলমগীর, মাওলানা মুহাম্মদ ইব্রাহীম, শাহান আহমেদ রায়হান, মাওলানা আবু ছিদ্দিক, পটিয়া প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক সেলিম চৌধুরী, সাংবাদিক মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। এছাড়াও, হাফেজ মাওলানা আব্দুর রশিদ, মাওলানা মতলবুর রহমান হায়দার, মাওলানা শহিদুল ইসলাম, মাওলানা রাশেদ সুলতান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অডিশন শেষে ৫ পারা গ্রুপের ১৫ জন এবং ১০ পারা গ্রুপের ১৫ জন—মোট ৩০ জন হাফেজকে ‘ইয়েস কার্ড’ ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। এছাড়া, ‘হুসনে ছাওদ’ বিভাগে ১৫ জন প্রতিযোগীকে ক্রেস্ট ও সনদ দেওয়া হয়।
ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়, অডিশনে উত্তীর্ণ হাফেজদের নিয়ে পরবর্তীতে গ্র্যান্ড ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে। সেই অনুষ্ঠানে দূর-দূরান্তের মান্যগণ্য আলেম-ওলামা, বিশিষ্ট লেখক, কলামিস্ট ও সাংবাদিকগণ উপস্থিত থাকবেন। ফাইনাল অনুষ্ঠানটি উপভোগ করার জন্য সাধারণ মানুষের প্রতি আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

