ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেলের ভিপি পদে মো. আবু সাদিক (সাদিক কায়েম) নির্বাচিত হওয়ায় তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ। একইসঙ্গে, তিনি সাদিক কায়েমের কাছে কয়েকটি দাবি জানিয়েছেন, যার মধ্যে অন্যতম হলো- বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে হত্যার জন্য দায়ী গেস্টরুম নির্যাতন সংস্কৃতির ‘ফাঁসি’ অর্থাৎ এই প্রথার সম্পূর্ণ নির্মূল।
বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি এই দাবি জানান।
নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে হাসনাত আব্দুল্লাহ লেখেন, তিনি আশা করেন নতুন নির্বাচিত ডাকসু নেতৃত্ব শিক্ষার্থীদের কল্যাণে ও বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থে কাজ করবেন। তিনি নির্বাচিত জিএস, এজিএস, সম্পাদক এবং সদস্যদের প্রতি আহ্বান জানান যেন তারা দল নয়, শিক্ষার্থীদের স্বার্থকেই সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেন এবং উদারতা ও সহনশীলতার চর্চা করেন।
ভিপি সাদিক কায়েম তার সহপাঠী ও বন্ধু উল্লেখ করে হাসনাত আব্দুল্লাহ তার প্রতি প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন যে, তিনি শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও একাডেমিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে আপোষহীন থাকবেন। তিনি বিশেষ করে গেস্টরুম কালচার নামক ‘সিস্টেমের ফাঁসি’ নিশ্চিত করার প্রাতিষ্ঠানিক সূচনা তার নেতৃত্বেই হবে বলে আশা করেন।
হাসনাত আব্দুল্লাহ তার এই স্ট্যাটাসে ২০২১ সালের ৮ ডিসেম্বরের একটি পুরোনো ফেসবুক পোস্ট শেয়ার করেন, যেখানে তিনি আবরার ফাহাদের হত্যাকারীদের নয়, বরং যে সিস্টেম বা প্রথা এই হত্যার জন্ম দিয়েছে, তার নির্মূল দাবি করেছিলেন।
তিনি বলেন, এই সিস্টেম শিক্ষার্থীদের ‘নিবেদিত ছাত্র’ থেকে ‘নিপীড়ক’ ও ‘পা-চাটা তেলবাজ’ বানিয়ে দেয়। তিনি আরও বলেন, প্রথম বর্ষের একজন ছাত্র হলে উঠলে তাকে বাধ্য হয়ে রাজনৈতিক দলের কর্মী হতে হয়, যা তার পড়াশোনাকে গৌণ করে তোলে। এই ব্যবস্থায় প্রথম বর্ষে নির্যাতিত হওয়া শিক্ষার্থী দ্বিতীয় বর্ষে নিজেই নিপীড়কের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়।
হাসনাত আব্দুল্লাহ জোর দিয়ে বলেন, মেধাবী ছাত্ররা গেস্টরুম সংস্কৃতির শিকার হয়ে অপরাধীতে পরিণত হয়।
তিনি বলেন, “আমি অনিকদের ফাঁসি চাই না, আমি জিয়নের ফাঁসি চাই না, আমি ফাঁসি চাই যে সিস্টেম অনিক তৈরি করেছে, সেই সিস্টেমের।” তিনি নবীন শিক্ষার্থীদের প্রতি অনুরোধ করেন যেন তারা এই ব্যবস্থার কাছে নিজেদের মেরুদণ্ড বিকিয়ে না দেয় এবং এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে।

