ঢাকা ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের হল নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের পর জামায়াতে ইসলামী সতর্ক করে দিয়েছে আলোচিত ইসলামি বক্তা ও দলটির সংসদ সদস্য প্রার্থী মুফতি আমির হামজাকে। সংগঠনটির পক্ষ থেকে তাকে রাজনৈতিক বিতর্কিত বিষয়ে বক্তব্য না দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) একটি গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মুফতি আমির হামজা জানান, সংগঠন থেকে দায়িত্বশীলরা তাকে মাহফিলে বক্তব্য দেওয়ার সময় সতর্ক থাকতে বলেছেন এবং কোরআনের তাফসিরের বাইরে আর কিছু বলবেন না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
মুফতি আমির হামজা স্বীকার করেন যে, তুলনা করে কথা বলার কারণেই তার বক্তব্য নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়। তিনি বলেন, “আমি আর এসবের মধ্যে নেই।”
মুফতি আমির হামজা সম্প্রতি এক মাহফিলে দাবি করেন, ‘১৬ বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুহসিন হলে আজান দিতে দেওয়া হয়নি’। এর তীব্র সমালোচনা শুরু হয়। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন:
* তিনি সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের নাম বলতে গিয়ে মুখ ফসকে মুহসিন হলের নাম বলেছেন। এজন্য তিনি ক্ষমাপ্রার্থী।
* তিনি জানান, মুহসিন হলে ছাত্রলীগের জমানায় ‘জুলুম-অত্যাচার’ হয়েছে এবং তিনি বাথরুমে নামাজ আদায় করার কথা শুনেছিলেন।
* তবে তার এভাবে বলা উচিত হয়নি জানিয়ে তিনি আগামীতে সতর্ক থাকার প্রতিশ্রুতি দেন।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে মদের বোতল নিয়ে তার করা মন্তব্যেরও সমালোচনা হচ্ছে। এ বিষয়ে তিনি বলেন:
* তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে ছিলেন এবং ক্যাম্পাসে কী হতো তা সবাই জানে।
* তিনি বলেছিলেন, বোতলগুলোতে মদ ছিল। এ নিয়ে সমালোচনা হওয়ায় তিনি বলেন, “এখন বলেছে, এসব বোতলে পানি খায়। যদি তাই হয় আমি দুঃখিত।”
* তিনি জানান, ওয়াজ করতে গিয়ে নানা বিষয়ে তুলনা করে কথা বলতে গিয়ে ভুল হয়।
আওয়ামী লীগের শাসনামলে জেলখানায় তার ওপর অত্যাচার হয়েছে এবং তিনি এখনো সুস্থ নন জানিয়ে মুফতি আমির হামজা বলেন, কথা বলতে গেলে ভুল হয় এবং তিনি সতর্ক থাকবেন।
এর আগে ভারতীয় অভিনেত্রী রাশমিকা মান্দানাকে নিয়ে দেওয়া বক্তব্যের জন্যও তিনি ক্ষমা চান। তিনি জানান, মা হাওয়ার সৌন্দর্যের বর্ণনা প্রসঙ্গে তিনি ওই কথা বলেছিলেন এবং এর জন্য তিনি মাফ চেয়েছেন। তিনি বলেন, “কেউ কষ্ট পেয়ে থাকলে দুঃখ প্রকাশ করছি।”
মুফতি আমির হামজা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আল কুরআন ও ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ছাত্র ছিলেন এবং তিনি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুষ্টিয়া-৩ (সদর) আসনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সংসদ সদস্য প্রার্থী।

