ঢাকাবৃহস্পতিবার , ১০ এপ্রিল ২০২৫
  1. অন্যান্য
  2. অর্থনীতি
  3. আইন ও বিচার
  4. আন্তর্জাতিক
  5. আবহাওয়া
  6. ইসলাম ও ধর্ম
  7. কৃষি
  8. ক্যাম্পাস
  9. খেলাধুলা
  10. চাকরি
  11. জাতীয়
  12. তথ্য প্রযুক্তি
  13. দেশজুড়ে
  14. নগর-মহানগর
  15. পরিবেশ ও জীববৈচিত্র
আজকের সর্বশেষ সবখবর

গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে মোটরসাইকেল পার্কিং করাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ- গুরুতর আহত-  ১

Link Copied!

 মোঃ শিহাব উদ্দিন, গোপালগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরের চৌরঙ্গীর মোড় থানা মার্কেটের সামনে চাদার টাকা না পেয়ে সুকৌশলে,   মোটরসাইকেল পার্কিং করাকে কেন্দ্র দেখিয়ে  সংঘর্ষ- গুরুতর আহত- হয় মোঃ শামীম ওসমান,  শামীম ওসমানের স্ত্রী মোসাঃ মিতা বেগম (৩০),

সাংবাদিকদের বলেন, আমার স্বামী মোঃ শামীম ওসমান, সাং-গোপীনাথপুর, থানাঃ মুকসুদপুর, জেলাঃ গোপালগঞ্জ  মুকসুদপুর সদর ঈদগাহ মার্কেটে ২য় তলায় দীর্ঘদিন যাবৎ ব্যবসা করে আসছে। গত রোজার ঈদের ৩/৪ দিন আগে বিকাল আনুমানিক ৫.৩০ টার সময় রুহুল মোল্যা, ও জুনুন মোল্যা, উভয় পিং- ফজলু মোল্যা,, সর্ব সাং- টেংরাখোলা, থানাঃ মুকসুদপুর, জেলাঃ গোপালগঞ্জ , আমার স্বামীর নিকট উক্ত দোকানে এসে ২০,০০০/- (বিশ হাজার) টাকা চাঁদা দাবী করে। চাঁদা না দিলে বিভিন্নভাবে প্রান নাশের হুমকি দেয়। আমার স্বামী প্রানের ভয়ে তাহাদেরকে ৩০০০ (তিন হাজার) টাকা চাঁদা দিয়ে অনুরোধ করে বিদায় দেয়।

গত ৮/০৪/২০২৫ইং তারিখ সময় আনুমানিক সন্ধ্যা ৭.০০ টার সময়,রুহুল মোল্যা, ও জুনুন মোল্যা, উভয় পিং- ফজলু মোল্যা আমার স্বামীর উক্ত দোকানে এসে পুনঃরায় ২০,০০০/- (বিশ হাজার) টাকা চাঁদা দাবী করে এবং বলে যে, আগামীকাল ১০.০০ টার মধ্যে ২০,০০০/- (বিশ হাজার) টাকা চাঁদা না দিলে তোকে জীবনের তরে শেষ করপ দিবো বলে চলে যায়। তারা স্থানীয় চাঁদাবাজ ও ভূমিদুষ্য হওয়ায় আমার স্বামী তাদের  ভয়ে এই ঘটনা কাউকেই বলে নাই। কিন্তু গত ০৯/০৪/২০২৫ইং তারিখ সকাল অনুমান ১০.০০ টার দিকে আমার স্বামী দোকানে যাবার সময় মোটরসাইকেল পার্কিং করাকে কেন্দ্র করে, আমার স্বামীকে একবার মারধর করে এবং পরে অন্যান্য লোকজনদের নিয়ে, রুহুল মোল্যা, ও জুনুন মোল্যা, উভয় পিং- ফজলু মোল্যা, দেশীয় অস্ত্র নিয়া আমার স্বামীর দোকানের দিকে আসে। আমার স্বামী প্রানে বাঁচার জন্য থানার দিকে দ্রুত যেতে দেখে থানা মার্কেটের হর্নার মোবাইল শো-রুমের সামনে দৌড়ে গিয়া  রুহুল মোল্যা তার হাতে থাকা চাপাটি দিয়ে খুন করার উদ্দেশ্যে আমার স্বামীর মাথায় কোপ মেরে আমার স্বামীর মাথার মাঝখানে মারাত্মক হাড়কাটা জখম করে। সাথে সাথে জুন্নুন মোল্যা তার হাতে থাকা লোহাড় রড দিয়া খুন করার উদ্দেশ্যে আমার স্বামীর মাথায় বাড়ি মারিলে উক্ত বাড়ি আমার স্বামীর মাথার ডান পার্শ্বে লেগে মারাত্মক হাড় ভাঙ্গা জখম করে।

হঠাৎ করে বাম দিক দিয়া,  ফজলু মোল্যা, পিতাঃ মৃত, আঃ ওহাব মোল্যা তাহার হাতে থাকা বাঁশের লাঠি দিয়া আমার স্বামীর শরীরের বিভিন্ন স্থানে এলোপাথাড়ী বাড়ি মারতে থাকে এবং আমার স্বামীর বুক পকেট থেকে ৫০০০/- (পাঁচ হাজার) টাকা ছিনিয়ে নেয়।রুহুল মোল্যা  এই সময় আমার স্বামীর প্যান্টের পকেটে থাকা ৭০০০/- (সাত হাজার) টাকা ছিনিয়ে নেয়। জুনুন মোল্যা, আমার স্বামীর মানিব্যাগে থাকা নগদ ১০০০০/- (দশ হাজার) টাকাসহ মূল্যবান কাগজপত্র ছিনিয়ে নেয়। আমার স্বামী বাঁচাও বাঁচাও বলে চিৎকার করলে মোঃ জয়নাল (৩৬), পিতাঃ পিতাঃ মৃত, চুন্নু মোল্যা, সাং- টেংরাখোলা, সহ বহু দোকানদার ঘটনা দেখে ও শোনে।

উপস্থিত লোকজন আমার স্বামীকে মুকসুদপুর হাসপাতালে জরুরী বিভাগে নিয়া গেলে ডাক্তার  আমার স্বামীকে অপারেশন করে এবং মাথার জখমের স্থানে বহু সেলাই দেয়। বর্তমানে আমার স্বামী মুকসুদপুর হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। আমি ঘটনার সংবাদ পেয়ে মুকসুদপুর সদর হাসপাতালে জরুরী বিভাগে আমার স্বামীর মারাত্মক জখম অবস্থায় দেখতে পাই। আমার স্বামী চেতনায় ফিরে আমাকে আস্তে আস্তে সকল ঘটানার বিবরণ বলে।তারপর আমি আনুমানিক রাত দশটার দিকে থানায়  অভিযোগ  দায়ের করি।

মুকসুদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোঃ মোস্তফা কামাল, একজন মানবিক ওসি, সে আমার সকল কথা গুরুত্ব সহকারে শুনে এবং আমাকে আশ্বস্ত করেন এবং আইনের প্রতি আস্থা রাখতে বলেন। এবং গণমাধ্যম কর্মীদের  ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলছে বলে জানান, মুকসুদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোঃ মোস্তফা কামাল।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।